জারক্বাকে নিয়ে যাবো রাইয়াপুরে
-------------------------------
গায়েঁর নাম রাইয়াপুর।
এখানে সকল ভালোবাসার জন্ম হয়।
এখানে পেঁচা-ডাকে রাত্রিভর, ঘুঘু নাচায় ক্লান্ত দুপুর।
লোকগুলোও সেই পুঁথির সরল-সুন্দর, মুর্খ নয়।
রবীন্দ্র-নজরুল, মোৎজার্ট-বেটোভেন বাজে সবার ঘরে
সময় পেলে অনুভাইও তানপুরা নিয়ে বসেন
দুঃখের পান-পাত্র সবাই একই মূর্ছনায় রসে পূর্ণ করে
পরহেজগার-মোত্তাকিরাও সঙ্গীতের মর্মকথা বুঝেন।
আষাঢ়ে আকাশ ভাঙে সব গাঁয়ে যখন অবারিত নির্মম
গোবর ও কাদায় কা’দের যেন হয় আঙ্গিনা গুলজার
আমরা স্ফূর্তিতে বারোমাস, আষাঢ়ে কিসেই বা কম?
নৌকাবাইচের হল্লা শেষে সন্ধ্যাপাতে মাছের বাহার।
পৌষের সকালে খাওয়া ভাপা-পিঠা, চাউলের চিতল
জরায় ভুগছে বুড়ি, খিচুড়ির সাথে তাই পাতার সিরা
লোকে জানে গ্রীষ্মের দুপুরে উপাদেয় রাইয়াপুরের ফল
আম ও পেঁপে কেটে দেবে চুড়িপরা লাজুক নারীরা।
বাচ্চাদের যেতে মানা উঠোনে বড়ইতলায়, খালি পায়ে
পুকুরে একা না যায়, পায়ে তার দেবো সুরেলা নূপুর
জারক্বাকে নিয়ে যাবো আমার সোনার রাইয়াপুর গাঁয়ে
আশ্চর্য গোসল হবে বাপ-বেটির বৃষ্টিতে টাপুর টুপুর !