(গযল আঙ্গিকের কবিতা)
গান লিখে ছুঁইতে পারি কা’র মনের বায়না আর?
উড়ার-টেকে রাখাল বাঁশের বাঁশি বাজায় না আর
তালাবে রুই-কাৎলা, পারে ডুগি, উড়ি, কয়ফল
সে কর্ম-সুফল আপন চোখে দেখা হয়না আর
উঁচুতে মুন্সি দাদার আজো ছাতিম ঠাঁট, কিন্তু
শিখরে বাজপাখি-জুটি পাখনা ঝাপটায়না আর
জানিনা হাকিকত নিয়ে আছে কি তৎপর তরুণ?
এ-বাড়ি ও-বাড়ি পড়তে পাঠায় কি পাঠায় না আর?
নেই বর্ষায় আঙ্গুলে গোণে মায়ের অপেক্ষা
সেই অধীরতা ঐ এলো বুঝি ছেলের গয়না, আর
খাল সব হয়ে পাক্কা পথে ধাক্কা ঢুশ প্রবল
আজ সেথা পড়শির ব্যথা কাউকে ভাবায় না আর
শিকলবিহিন এক-শিকল প্রবাসে বন্দি আমি
দ্বৈরথ যন্ত্রণাতে ইতরবিশেষ যায়না আর
সায়ঁত্রিশ বছর গেলো মন-মুকুরে খিল এঁটেছি
বুকে পাথর রেখেছি যেন পাখি কথা কয়না আর
খেলাবেলা থেকে প্রৌঢ়বেলা ভেসেই ছিল পথচলা
কোন ঘাটে এ-ভেলা কেউ ভিড়তে দিতে চায়না আর
দিনশেষে অর্জন কি? আত্ম-দুকূল ভাঙা ছাড়া?
আমাকে দেখায়না নিজের ঐ চেহারা আয়না আর
বলছিনা পৃথিবীতে পাইনি আমি অঢেল; এ মন
কোনকিছু পৃথিবীতে খাবলা খাবলা চায় না আর
শেষ একবার পারি যেতে যদি বাড়িতে, সেই দিন
করুণ সুরে দোয়েল যেন আমাকে কাঁদায় না আর
গেলে যাবে, তবে এলবাম খুলে ফেলো না মনসুর
রাইয়াপুর গাঁ’র স্মৃতি আমার মনে সয়না আর