আসসালামু আলাইকুম
এবারের একুশে বইমেলায় 'এডর্ণ প্রকাশনী' থেকে আমার দুটি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। স্টল ২২৭-২৩০।
১) 'শিকওয়া' ও 'জওয়াব-ই-শিকওয়া' : আল্লামা ইকবাল
২) 'দীওয়ান-ই-গালিব' : মির্যা গালিব
আল্লাহর অশেষ দয়ায় ১৬ বছর আগে করা এ অনুবাদগুলো আজ অনেকদিন পর প্রকাশিত হলো আমার কাছের মানুষদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সঞ্জীবিত হয়ে।
------------------
****দুটি কথা***
***শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া***
"আমার এ অনুবাদ-প্রচেষ্টা অধিকার, যোগ্যতা বা পান্ডিত্যবলে নয়, বরং আল্লাহ নির্ভরতা সম্বল করে কাজে হাত দিয়েছিলাম। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলোনা কবির কবিত্বকে প্রদর্শন করার। প্রিয় কবি নিজেই যেখানে সাহিত্যে art for art’s sake তত্ত্বের ঘোর বিরোধী। আমার অনুবাদেও প্রাধান্য পেয়েছে কবির মূল ভাষণকে ক্ষুন্ন না করার প্রত্যয়। তাই কাব্য সৃষ্টিতে উপযোগী, অথচ মূল ভাষণকে ধোঁয়াশাচ্ছন্ন করে এমন চিত্তাকর্ষক শব্দের ব্যবহারে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছি। ভাবানুবাদের অজুহাতে নব-সৃষ্টির শ্লাঘায় নিজেকে ভেসে যেতে দেইনি, আর পাঠককেও ভেসে যেতে দেবোনা এ প্রত্যয়ে যথা সম্ভব মূল বক্তব্যের কাছাকাছি রয়েছি। যদিও কখনো মূল থেকে দূরে যেতে হয়েছে, তা মূল ভাষণকে অধিকতর পরিস্ফূট করার স্বার্থেই হয়েছে।"
***দীওয়ান-ই-গালিব***
"উর্দূ-ভাষী বন্ধুদের উৎসাহে আমি গালিবের গযল অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম। সব অনুবাদই শেষপর্যন্ত ভাবানুবাদ বা নতুন এক কবিতা। তবু বলবো - আমার কাজে আঙ্গিক ও ভাবে মূলের কাছাকাছি থাকার সর্বান্তকরণ উদ্যম ছিল। বোদ্ধা পাঠক মূল সাহিত্যের আমেজ অনুভব করবেন - একথা ভেবে আমি গযলের আঙ্গিক - মাৎলা, মাকতা, কাফিয়া, রাদিফ, বেড় - মেনে ‘দীওয়ান-ই-গালিব’ থেকে ২৯টি কবিতার গীতবান্ধব অনুবাদ করেছি। কাজটি আমার জন্য সহজসাধ্য ছিলোনা। এমনিতেই গালিব হলেন অতি উচ্চাঙ্গের ভাব সম্বলিত দুরূহ শৈলীতে পারঙম ওস্তাদ- শায়ের। তার বাক-চাতুর্য অসামান্য। তার গযলের পংক্তিগুলো প্রায়শ দ্ব্যর্থবোধক। এ কারণে উর্দূ গযল-সাহিত্যে তিনি ‘মুশকিল পসন্দ’ (master of paradox) হিসেবে খ্যাত হলেও তার ‘দীওয়ান-ই-গালিব’ আজো পাঠকের কাছে সমান চিত্তহারী। "