[পূর্ণ আঙ্গিক মেনে লেখা গযল]
না-হোক বেলা শেষ হতে হতে ছিন্ন-হৃদয় আর কেউ
যাবে কি ঘাঁটাতে নিজের খেয়ে কারো বোধোদয় আর কেউ?
জীবন, গ্রন্থ, আমার বুক; রবে কেন কেউ রাতজাগা?
আমাকেই ছুঁড়েছে তীর সে, কেন আহত হয় আর কেউ
আজ হেন গল্প-গাথায় দোলায় শাখা দখনে হাওয়া
যেন পরাজয় কেউ দেখেনি, দেখেনি বিজয় আর কেউ
দু:খ ছাওয়া অন্ধ রাতে ঘুম না-আসা নেত্র চায়
রক্ত লাল অর্ক যেমন দেখেনি উদয় আর কেউ
যে জন্য এ দিল পৃথিবীতে অংকে করে দেদার ভুল
জানতে চায় না কেন নিখুঁত তার পরিচয় আর কেউ?
এক তাফসীর খুলে বসেছিলাম চায়ের কাপের পাশে
কভু তিনি ছাড়া, সে-থেকে, দেখা হয়না আলোয় আর কেউ
কোথা হতে আসা, কোথা ফিরে যাবো, ভাবেনা যে এক দন্ড
তার মতো রূপ না-দেখে ঘেমে হয়না বিলয় আর কেউ
পিদিম জ্বলবে আলোকিত করতে প্রতিটি অন্ধকার
আছে কিছু শিখা, বুঝে নিও, জ্বেলেছে নিশ্চয় আর কেউ
সুখ মিছিলে ভেসেছিলাম; ছিল জায়নামাযে মাঠ-জয়ী
ভোরের কাগজে দেখলাম সে বুলবুলি নয়, আর কেউ
মধুর ধ্বনির ধার ঘেঁষে আমার প্রগাঢ় রাত-চলা
তোড়জোড়ে দেখবাল করে সে-পথের বিষয় আর কেউ
ভোগের চেয়ে রপ্তানী দরে প্রেম নিগূঢ় যৌবনময়
হাটে পৌঁছাবার পূর্বে তারে করে বিক্রয় আর কেউ
প্রমাণিত বিস্ফোরণে গার্ডেন সাজিয়ে দিবার চাই
বের হোক সব সোওরভ, না ঘটাতে প্রলয় আর কেউ
লোক মুখে চর্চা, মনসুর, বাঁধবে কন্ঠে ঘন্টা কে?
সংশোধিত হতে হবে যে, সে তুমি ছাড়া নয় আর কেউ