'বাছুরের মত সব নাবালক' কবি হওয়ার স্তর অতিক্রম করে 'ধেড়ে ষাঁড়' হতে চাই
বিগত ০৫/০১/২০১৮ তারিখে জনাব প্রবীর চ্যাটার্জীর 'প্রথম দশ জন কবির স্থান অধিকারী কবিদের অভিনন্দন!! লেখাটির মাধ্যমে অবগত হলাম দশজন কবির স্থান অধিকার এবং তৎসংশ্লিষ্ট কবিতা সম্মন্ধে। আমরা ধরে নিচ্ছি উদ্যোগটি প্রথম দশটি নির্বাচিত কবিতা বিষয়ক। এ উদ্যোগ প্রশ্নাতীত ভাবে প্রশংসনীয় এবং মহৎ। এতে কবিদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত হওয়ার পাশপাশি, প্রায়-প্রতিদ্বন্ধিতাময় এক পরিবেশে, আরো অধিক সচেতন হতে, নিজেকে ঘষে-মেজে তৈরী করতে, নিজের ভাবনার শ্রেষ্ঠাংশকে পরিমার্জিত ভাবে উপস্থাপন করতে সমুহ উদ্দীপনা যোগাবে বলে আশা করি।
জগতের আর দশটি বিষয়ের মতোই শিল্প-সাহিত্যও মতদ্বৈততা বা ক্ষেত্র-বিশেষে তর্ক-বিতর্কের অবকাশ মুক্ত নয়। তবে এ ব্যাপারে একমত হতে পারি যে, এখানে এই কবিতা আসরে আমরা নিজেকে 'সৌখিন কবি' মেনে নিয়ে কবিতা পোস্ট করে যাচ্ছি; 'বিখ্যাত কবি' হিসেবে নয়। অতএব আমাদের দেয়ার যেমন সমুহ সম্ভাবনা আছে, নিজেদেরকে তৈরী করে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তেমনি অপরিহার্য। আমরা কাব্যবিচারক বা নির্বাচক পেনেল থেকে সেই 'শেখানোটুকু' আশা করতে পারি।
আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো, বিজ্ঞ নির্বাচকদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কবিতাগুলোর বিশেষত্ব উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ থাকলে বিশেষ উপকৃত হতে পারতাম, একথা বলা। এখানে দুঃখজনক হলেও বলতে হয় - কিছু কিছু কবিতায় শব্দের অশুদ্ধ বানানের ছড়াছড়ি ঠিক typing error বলে মনে হয়নি। লিখিয়ের অসতর্কতা বলেই মনে হয়েছে। বিচারকমন্ডলী হয়ত এই অসতর্কতাকে 'সৌখিন কবিদের প্রকাশনা' হিসেবে স্নেহের ক্ষমাসুন্দর চোখে এড়িয়ে গিয়েছেন। আমার আকাংখা হচ্ছে কোন না কোন ভাবে এই সৌখিনতার স্তর অতিক্রম করে, অর্থাৎ কবি শামসুর রাহমানের 'প্রৌঢ় অধ্যাপকের মতে' কবিতার অনুকরণে বলছি - 'বাছুরের মত সব নাবালক কবি' হওয়ার স্তর অতিক্রম করে 'ধেড়ে ষাঁড়' হিসেবে চিহ্নিত হতে চাই। এ ব্যাপারে সাহায্য দরকার। সাহায্য চাই সকল সম্ভাব্য জায়গা থেকে। চাই তা স্নেহের হোক, কিংবা কঠোর আলোচনা-অনুশাসনের।
নির্বাচিত কবিতার কবিগণের সকল প্রকার সমৃদ্ধি কামনা করছি। সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়গণকে আন্তরিক ধন্যবাদ এমন একটি প্রাণ-খোলা আসরের জন্য।