আমি ও আসন্ন সময়
একদিন ঘুমহীন চোখে দেখতাম মেঘের প্রান্তর পেরিয়ে আসছে
হাজার হাজার ঘোড়সওয়ার
কছিমের হালের বলদ মাঝপথে থমকে দাঁড়ায়
উর্ধ্বাকাশে খোঁজে তারার বুক নিভু নিভু সাশ্রয়ে
কাছে কোথাও নটরঙীপনা চলছে তাহলে?
ইঁদুরের পায়ে চলা নিঃশব্দে বিষাক্ত রক্তবিন্দু
ফকির-খালি ভাসিয়ে দিয়ে ফিরে যায় পশ্চিমের মাঠে।
বেদখল দক্ষিণ-অলিন্দ নিয়ে পড়ে থাকা সময় এখন?
নাকি হিংস্রনখরকে কর্তব্যবোধের তলোয়ার বানানোর
পয়গাম এসে গেছে?
রূপসীর বিছানো চাদরে মুখ মুছি লজ্জার।
ভাবি। পুরুষ বিড়ালের
খুব বেশি চোখ কেনো জ্বলে অন্ধকারে?
স্তুপিকৃত বিষয়-বৈভব পাশে রেখে বুকডন করাওতো
অলস সময়। সানাই যদি বাজে নিষিদ্ধ প্রহরে?
বাজবেইতো! বায়সকন্ঠে ভাটিয়ালি; বিলের ধবল সারস
ঠুকরে ঠুকরে খায় বোধবুদ্ধি, পুঁটিমাছ। নবজাতকের
চোখসুদ্ধ সবুজ শরীরও ভ্রষ্ট হবে একদিন। এইসব পাঁচালি।
ঘুম হয়না
সত্য প্রভাত হয়না
জেগের ওঠার আযান হয়না
যেখানে হতে পারতো পায়রার সফেদ মিছিল !
তেযামা ছিন্নমূল লুকোয় কন্দরে চাঁদবদন গুঁজি।
কাঁপে বিশ্বাস বোশেখী ঝড়ের শেষে যেমন কুমারী কলাপাতা
কেবল আমি ও আসন্ন সময় পড়ে থাকি একা