ভরা বর্ষায় ভাঙন ধরে পাড়ে।
কলকলে জল ঢুকে মাঠে,
শিশির ভেজা ধান গন্ধে ভরপুর।
বর্ষার জল তোমার-আমার তীরেও সঞ্চিত।
ডালে-পাতায়-কান্ডে;
কাদাখোঁচা দল রোদ স্নান শেষে অপেক্ষারত
নারকেল সারির ফাঁকে ফাঁকে
নিয়ন আলোয় ফোটে চাঁদ।
ছপ ছপ হাল ভেঙে এগোয় মাঝি
জীবনের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
শিশু থেকে কিশোরে;
জাল ফেলে নদীর বুকে মত্ত কুয়াশায়
কিশোর থেকে যৌবনে;তারপর..।তারপর..।
জোনাকিরা তারার মতো ঝিকমিক,
চিকন পাতায় এলিয়ে,ভাত ঘুম দেয় গভীর রাতে।
কত তরুণ-তরুণীর পায়ের ছাপ ঘাটে ঘাটে।
কথা দেওয়ার অঙ্গীকারে,বিধাতা হাসে মনে মনে।
আলতা রাঙা পায়ের ছাপ;ঢেউয়ের তোড়ে
ধীরে ধীরে বুড়ো হয়ে ধুয়ে যায় কখন।
অঙ্গীকার পাড়ি জমায় মৎস্য কন্যার দেশে।
কত উৎসব,স্বজনের আসা যাওয়া;
মন্দিরে শঙ্খ ঘন্টা বাজে পাড়ে পাড়ে।
ধূপের ধুঁয়া উড়ে মেঘের মতো।
পিদিম আলো মেলে দেয় ডানা।চোরাবালিতে।
বনকচু,কাঁটাবন,কচুরিপানায় ভরে নদী,
মুছে যায় কালে কালে কত কাহিনী।