ব্যালকনি বেয়ে কিছু ভেজা কাপড় ফরফর করে উড়ছে।আগের দিনের গ্লানি ধুয়ে মুছে সাফ।
তুমি রুমের চৌকাঠ পেরিয়ে যে বারান্দায় এসে পৌঁছাও-
সেখানে কিছু টবের সারি আংটি করা লোহাতে আটকানো।তুমি রোজ তাদেরকে জল দাও,আলো দাও,জানালা খুলে দমকা হাওয়া দাও মাঝে মাঝে।
কিন্তু ওরা তোমার মনের সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে না খুব বেশি।
ওখানে একটা পাহাড় মাটির বুক চিরে গজিয়ে উঠলো।সঙ্গে একটা নদীর খুব ক্ষীণ স্রোত, পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়ে-ফিনফিনে নীলাভ পর্দা কাঁপিয়ে,তোমার গ্রীনরুমের ওপর দিয়ে চলে গেল।দূরে...আরো দূরে..।
পাখিরা কিছু পালকের ডানা ছেড়ে গেছে খাট জুড়ে।পাহাড়ের গাছেরা ডাল পাতা ছাড়িয়ে ফ্ল্যাটের ভেতর পর্যন্ত মাঝে মাঝে হাওয়া আর ছায়া দিয়ে,সারা ফ্ল্যাট দিলো মুড়ে।সবুজে..সবুজময় সব।পুকুরের পাড়ে লাজুকভাবে দুজনেই মাথা নত।যেন প্রথম প্রেমালাপ করছি।হয়তো সভ্যতা ধ্বংসেরেও আগের কথা।চোখে চোখ রেখে ডুবে যাচ্ছি দূরে..আ..রো দূরে..!!
কচি ঘাস আলতো করে দাঁতে ছিঁড়ছ তুমি।দুজনের চোখে তখন,এক আঁজলা আকাশ স্বপ্ন।
এখন ব্যথা পেয়েও ঘাসেরা সব চুপ।তারা টের পায়।তাদের মাড়িয়ে চলে যাওয়ার থেকেও আঘাত এসেছে জীবনে।
শ্যাওলা ধরা টবগুলোর দিকে তাকালে কিছুক্ষণ। হালকা হেসে ভেতরের চাপা কান্নার সুর গুলো টসটস করে বৃষ্টিরূপে নামছে।আর ছড়িয়ে যাচ্ছে তোমার স্যাঁতসেঁতে দেয়ালে,মরচে ব্যালকনিতে।এরকম সবারই হয় বুঝি..!!কি জানি..!!
আমি তখন দূরে..আরো বহুদূরে..।।
একটা ন্যাড়া পাহাড়,একটা চোরা নদী পাড়ে- ইচ্ছে মতো বেড়া তৈরিতে ব্যস্ত বহুদিন।
ব্যস্ত থাকি তোমাকে ভুলতে..।
পাখির মতোই দূর থেকে দূরে..!!
ন্যাড়া পাহাড়ের ওপারে, আকাশে উড়ে যেতে!!