রাস্তার ধারে শীর্ণ শরীর, ছেঁড়া কাপড়ের ভাঁজে লুকানো দীর্ঘশ্বাস।
ক্ষুধার্ত চোখের গভীরে জমা হয় না পাওয়ার বেদনা,
প্রতিটি নীরব চাহনিতে লেখা থাকে বেঁচে থাকার কঠিন পঙ্ক্তিমালা।
তাদের ক্লান্ত হাতগুলো খোঁজে সামান্য উষ্ণতা,
তাদের পায়ের ধুলোয় মিশে থাকে উপেক্ষা আর অবহেলার ইতিহাস।
তারা দেখে দিনের আলো, কিন্তু অনুভব করে রাতের অন্ধকার,
তাদের স্বপ্নেও হানা দেয় আগামী দিনের অনিশ্চয়তা।
কেউ শোনে না তাদের অব্যক্ত চিৎকার,
কেউ বোঝে না তাদের বুকের গভীরে জমে থাকা পাহাড় প্রমাণ কষ্ট।
তারা পথের ধারে বসে থাকে, যেন কালের সাক্ষী,
যেন সভ্যতার কঠিন পরীক্ষায় পরাজিত সৈনিক।
তাদের মলিন মুখে লেগে থাকে বেঁচে থাকার এক অদম্য জেদ,
এক মুঠো অন্নের আশায় তারা বাড়িয়ে দেয় হাত,
তাদের প্রার্থনায় থাকে শুধু একটি দিনের শান্তি,
একটি রাতের ঘুম, যেখানে থাকবেনা কোনো ভয়, কোনো যন্ত্রণা।
তাদের ব্যথা মিশে যায় শহরের কোলাহলে,
তাদের কান্না হারিয়ে যায় যান্ত্রিক শব্দের ভিড়ে।
তবুও তারা বেঁচে থাকে, বহন করে নিজেদের নীরব ক্রন্দন,
দীন দের ব্যথা, যা হয়তো কোনোদিনও শোনা হবে না।