বৈশাখী হাওয়া বয়, নাচে ধরণী,
চড়কের মেলা বসে, মুখরিত অঙ্গনী।
গাঁয়ের মানুষ মেশে, কত আশা বুকে,
পুরাতন দিনের গ্লানি যাক ধুয়ে সুখে।

শিবের বন্দনা গায় ভক্ত আকুল,
কষ্টের পথ পেরোনোর এই তো সম্বল।
কাঁটা আর ধারালো পথে নির্ভয়ে হাঁটে,
বিশ্বাসেরি জোরে সব দুঃখ যায় কাটে।

কেউবা ঝোলে বাঁশে, শরীরেতে গাঁথা,
সহ্য করে যন্ত্রণা, মানে না তো ব্যথা।
দেবতার কৃপা পেতে ব্যাকুল অন্তর,
নতুন দিনের স্বপ্নে বিভোর প্রান্তর।

ঢাকের বাদ্যি বাজে, কাঁসর ঘণ্টা বাজে,
আনন্দেতে মত্ত রয়, হৃদয় মাঝে।
মেলাতে ভিড় করে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা,
চড়কের এই দিনে সব হয় মধুময়তা।

কালবৈশাখীর রুদ্র রূপে ভয় নাহি মানে,
কৃষকের আশা বাঁচে নবীন ধানে।
চড়কের এই পূজা আনে শান্তি আর প্রীতি,
বাংলার সংস্কৃতি, চিরন্তন রীতি।