ওই দেখো চলেছে- ভিখারি লুচ্চা,
এক নম্বরের লোভী আছে সাচ্চা।
বাটি হাতে রাস্তার পাশে নয়...
বুক ফুলিয়ে মারুতি চরে যায়।
আগে চলে গোলাপে সাজানো গাড়ি,
পরেরটায় ভিক্ষাপণ্য- খাট,আলমারি।

ইচ্ছা ছিল আনবে লক্ষ্মী প্রতিমা।
সুযোগ যখন আছে,ছাড়া যাবে না!
বাবা মায়ের বুক খালি করে,
আদরের ধন আনল সে কেড়ে।
তাতেও তার হয়না মন খুশি!
চায় ভিক্ষা, মুখে তবুও হাসি।
আরো আরো টাকা,গয়না,সোনা...
একটা কিছু কমলে বসা যাবে না।

ফিরছে ছেলে বাড়ি,ভিক্ষা সেরে...
বরনডালা নিয়ে মা দাঁড়িয়ে দ্বারে।
সবার মনেই আনন্দ আর হাসি,
ওদিকে বাপের গলায় দেনার ফাঁসি!
মেয়েটাকে তার হাতে দিল তুলে,
তারপরেও ভিক্ষা চায় লজ্জা ভুলে।
যে সম্পদ দিল কন্যাদান করে,
নাই তেমন অমূল্য জগত মাঝারে।

নতুন চাকরি মোটা মাইনে পায়।
নাই অভাব কিছু, তাও ভিক্ষা চায়।
ভিখারির ঘরে সব জিনিসই আছে,
হাত কেন পাতে গরীব বাপের কাছে।
ভিখারিদেরও আছে অনেক সম্মান,
ভিখারি বললে হয় তাদের অপমান।
ধনী হয়েও কুকুরের মত লোভ!
যতই পায়, তাও থাকে ক্ষোভ।
শিক্ষিত হয়েও সব গাধার দল,
অমন বিদ্যায় ঢালিস গোবর জল।

মেয়ের বাপেরা করবে যেদিন পণ,
ভিখারির হাতে করবে না কন্যাদান,
হাজার ঘুরেও পাবেনা কোন মেয়ে,
চিন্তাগুলো সব আসবে তখন ধেয়ে।
সেদিন খুলবে মুর্খদের দুই আঁখি,
লক্ষ্মী প্রতিমা পেয়েই হবে তবে সুখী।

____________________
রচনাকালঃ
২২ নভেম্বর ২০১৮
সকাল ৮ টা ৫৬