লম্পটের রাজত্বে আছো বেশ খুশিতে,
বিবেক তো ঝুলে আছে ঐ দেখো ফাঁসিতে।
গায়ে পড়ে চামড়া ঘোরে সব হায়না,
হাতিয়ার থাকে সাথে লোভ আর ছলনা।
জানোয়ার মুখ গোঁজে মুখোশের আড়ালে,
পর্দা খোলে চেহারার সুযোগের ছোবলে।
মেয়েগুলো ঘোরে ফেরে- চোখে পড়ে যেই,
লম্পটের লোভ বলে- "মালটা তো সেই"।
ধরি আমি কান চাই সুধী ক্ষমা,
এমন কুশব্দ আমার কলম বলে না।
মা বোনও নারী বোঝে নাতো তারা,
মেয়ে দেখলেই জানে শুধু ঝাপিয়ে পড়া।
তোর কপালে সন্তান মেয়ে যদি জোটে,
তার জীবনে যদি এমন কিছু ঘটে!
সময় আর নাইরে হয়ে গেছে শেষ,
জেগে ওঠা অলসতা ঘুমিয়ে থাক বেশ।

মেয়েদের কেন দোষ ছোট-বড় পোশাকে,
অজুহাত জমা করে মাছ ঢাকো শাকে।
বয়সে কেন বলো ছোট-বড় মানে না?
ছিঁড়ে খায় সতীত্ব হিংস্র সব হায়না।
আসল কথা বলি- ওরা মানসিক রোগী,
চিকিৎসার প্রয়োজন ভন্ড সব যোগী।
জল ঢালি মিছিলে ঢালি জল আগুনে,
নিভে যাক মোমবাতি দেখুক জনগণে।
ক্ষনিকের প্রতিবাদে হবে নাতো কিছু,
সততা দাপিয়ে মরে করে মাথা নিচু।
না বাঁচাবে দুর্গা না আসবে কালী,
একটা উপায় আছে শোনো তবে বলি।
নাচ না শিখে ক্যারাটে শেখো মেয়ে,
অসুর বধ করবে নিজেই দুর্গা হয়ে।

বিশ্বাস নেই পুলিশে আইন সেতো অন্ধ,
বস্তা ভরা টাকায় ফাইল হয় বন্ধ।
না হবে কোন কেস না কোন ফাঁসি,
শাস্তি চাই ওদের আরো আরো বেশি।
এমন হোক শাস্তি নরখাদকের প্রতি,
কাঁপুক ভয়ে ওরা হোক সাহসের ইতি।
ঝুলিয়ে দাও বাজারে খুলে সব বস্ত্র,
নগ্ন শরীরে শুধু চাবুক হবে অস্ত্র।
আধমরা হলে পড়ে ঢালো গায়ে কেরোসিন,
অবসান হবে তবে পাপীদের ভালো দিন।
দেখুক সব জনগণ ধর্ষকের শাস্তি।
ভয়ে মরুক লম্পট নারী পাক স্বস্তি।

_________________
রচনাকালঃ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৯
দুপুর ১২ টা ২১