প্রতিটি স্কুল একেকটি বাগান,
ফুলেদের মুখে দেওয়া হয় গান।
ওরা হেসে খেলে বেড়ে ওঠে…
হাওয়ার সাথে খুশিতে ছোটে।
এমন এক স্কুল দেখি কল্পনাতে,
অসুখের মন্ত্র দেওয়া হয় হাতে।
ফুলেদের খাওয়ানো হয় যে ভাত,
পোকা ভরা চাল দেখি দিনরাত।
চাল বলা ভুল পোকাদেরই ঘর,
রাধুনি ভাঙ্গে রোজ ওদের সংসার।
আর্সেনিক শিকড়ে দেওয়া জলে,
বিষ ঢুকছে দেহে লৌহ জল খেলে।
বোঝেনা ফুলেরা নিষ্পাপ চোখে,
ছুড়ে দিচ্ছে গুরুদেব অসুখের দিকে।
প্রহরীর প্রতিবাদ, হুংকারে পশু…
ভুলে যায় ওপরে দেখছেন যীশু।
অভদ্র পশু চাবুক চালায় জিহ্বাতে,
এটা বড় সাহায্য সম্মান ভাঙতে।
কোলের ফুলে দিতে কি সে পারে,
বিষ,অসুখ মিশিয়ে তার আহারে?
নিজের ঘরের টবে যত্নের সমাহার,
স্কুলের ফুল বলে এত অবিচার!
গুরুদেব নয় যত্ন নিচ্ছে হত্যাকারী,
ঘেন্নার থুতু ছেটাই মাথায় তারই।
রাগ আমার চোখের জলে ভেসে যায়,
প্রতিবাদী কন্ঠ স্বীকার করে পরাজয়।
ফুলেরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলে,
দ্যাখে প্রহরী একা বন্দী অশ্রুজলে।
___________________
রচনাকালঃ
২৪ জুলাই ২০২৩
বিকাল ৬ টা ২৫
কপিরাইট ©মনোজ