অর্চনা
আমি নিশ্ব আমি সর্বহারা
আত্মকে দিয়েছি বলি মানুষের দরগায়।
লোহিত রক্তে অমৃত সুধা পানে
বিমোহিত তুমি আপন আলয়।
ইন্দ্রিয় সুধা তিরোহীত কর
যজ্ঞ করিব যত বদ অভ্যাস
তীক্ষ্ন রিপুর সূচাল সংঘাত
হয়েছে প্রত্যাখ্যাত পেয়েছি আভাস।
কর অঞ্জলি সেথা তোমার কৃপায়
তুমি বিশাল তুমি অসীম কিম্ভুত কিমাকার
জগত ব্যাথীত তোমার অসংকোচ নিস্ক্রিয়তায়।
অরুন বর্ষন জানি পতিত এবার
ঘন আঁধারের কুহলিকায়।
মহাজল নাহি অতল সীমাহীন সমুদ্র তরঙ্গে
বসে আছে সাধক অঞ্জলি পাতি তপ্ত বালু তটে।
হৃদয় বীনায় সুর লহরী নাচে ধমনী নাচে হিয়া
উষার সকাল আসিবে গৃহে কাটিবে ঘোর আমানিষা।
কুহকের দ্বীপে ইন্দ্রপুরী যবে তান ধরেছে আনমনা
ভজনালয় নাহি চিহ্ন উপাসনা নাহি চলে অর্চনা।
কপট আত্মার বিভিষিকায় পুজ্য উপকরন দুষিত
নির্মল বন্দনা কলংকে কাঁদে ক্ষুধার্ত মহা তৃষিত।
বিলাস গর্বে গর্বিত মানুষ ভোগে মেতেছে উম্মাদ
অহমিকা শীর্ষে প্লাবিত বক্ষ নরনিন্দা চলছে অপবাদ।
সরাব পানে বিষাক্ত চিত্ত কুক্ষিগত সতিত্ব নারীর
ধুম্রজালে কুন্ডলী ফনা ছুঁয়েছে মজলিশ রঞ্জিত আবির।
মানুষ মুক্তি দাতা মানুষ চীর অম্লান
মুছে যাক সব ক্ষত জীবন হবে মহীয়ান।
ফেরাও মোদের সেই সত্যের অমলিন পথে
যে পথে সভ্য মানুষ চলিবে শুধু মানুষের মতামতে।