সোমদত্তা
মণীষ
সোমদত্তা !
আঙুলে তোমার জ্বলজ্বল করছিল চন্দ্রকান্ত মণি
চাঁদের কিরণে জমেছিল বিন্দু বিন্দু রাত্রির স্বেদ ।
সোমদত্তা,
এই নিষিক্ত নিশুতি রাতে
তোমার নিজের হাতে ভরে দাও
আমার সোমসুধাপাত্র ।
তোমার অনামিকার অঙ্গুরীয় থেকে
ঝরে পড়ুক ফোঁটা ফোঁটা গলিত স্বেদ
সোমদত্তা,
তোমার অন্তরসুধামৃতে
আমার নির্বাণ লাভ হোক ।
ধর যদি আজ মুছে যাই
এই পৃথিবীর বুক থেকে
ঠিক কতটুকু ক্ষতি হবে মানবসমাজের?
ঠিক কতজন চুপিসাড়ে চোখ মুছবে ,
ঠিক কতজনের নিঃশ্বাস হবে ভারী ,
ঠিক কতদিন কারো নিভৃত অবসরে
আমাকে নিয়েই উল্টোবে কেউ
স্মৃতির মলিন পাতা ?
তারপরে
একদিন তারাও তো হয়ে যাবে ইতিহাস ।
সোমদত্তা!
হরিপদ কেরানীদের ইতিহাস আর কেই বা মনে রাখে।