আঠাশে আষাঢ়।
দিনটি ছিল তার জন্মদিন
একগোছা গোলাপ দিয়েছিলাম উপহার।
সে বলেছিল, "গোলাপ তো আমায় সবাই দেয়,
তোমার থেকে একটু অন্যরকম উপহার চাই কবি "।
উপহারে সে চেয়েছিল
আমার থেকে একটি ছোট্ট অঙ্গীকার
"আমৃত্যু আমরা প্রতিবছর একসাথে বৃষ্টিতে ভিজব এই দিনটিতে। "
বিগত চার চারটে বছর
আমরা একসাথে ভিজেছি ।
হেঁটেছি কত পথ পাশাপাশি
পথের প্রতিটি বাঁকে লিখেছি
একসাথে কত কবিতা।
হেমন্তের রাতে
আকাশের তারাদের দিকে চেয়ে থাকতে
খুব ভাল লাগত তার।
একটা টেলিস্কোপ কিনেছিলাম কয়েকমাস আগে
একসাথে তারা দেখব বলে।
একদিন ভোরে খুব কুয়াশা ছিল
একসাথে হাঁটতে বেড়িয়ে জানিনা কেমন করে
হাত ছাড়াছাড়ি হল।
যখন কেটে গেল কুয়াশা
দেখি তার হাত অন্য কোন হাতে।
আজও এসেছে আঠাশে আষাঢ়
অথচ আমার আকাশে একটুও মেঘ নেই।
ছাদে উঠলাম
দেখলাম অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে
ইচ্ছামতির অন্য পাড়ে ।
টেলিস্কোপটা নিয়ে আসি
একা একাই জুম করে দেখি,
কোন এক নির্জন বাগানে
দুটো শরীর এক হয়ে ভিজে যাচ্ছে ।
নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না
টেলিস্কোপ মিথ্যে বলে না।
ভালবেসেছিলাম হৃদয় দিয়ে
তাই হাত তুলে এপার থেকেই
মনে মনে জানালাম শুভ কামনা
"ভাল থাকিস, সুখে থাকিস ভালবাসা"।
কিন্তু যন্ত্র দেখতে পায়নি
অন্তরে চলছে তখন অবিরাম রক্তক্ষরণ ।