কয়েক লক্ষ বছর পার করে এলাম
প্রশ্বাসে টেনেছি কোটি কোটি লিটার প্রাণবায়ু
তবুও কী এক মহাশূন্যতার হাহাকার
খেলা করে নিরন্তর বুকের ভিতরে।
ঘুমোতে পারিনা আমি।
শতাব্দীর পর শতাব্দী
তোমার বিমূর্ত মুখ খুঁজে বেড়াই
তুতানখামেনের সমাধি থেকে
বেসিল দূর্গের পতনে,
হিরোশিমার কুঁকড়ে যাওয়া নারীর শরীর
হলোকাস্টে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত
নাম না জানা প্রেমিকা
ভারত থেকে চোরাই পথে পালাতে গিয়ে
কাঁটাতারে লটকানো গুলিবিদ্ধ ছোট্ট বালিকার শব
আমাকে তাড়া করে নিরন্তর।
আমাকে বিশ্বাস করে যে সব নারীরা
যুগ থেকে যুগান্তরে
চেয়েছিল একটু নিশ্চিত জীবনের আশ্বাস
বুকের মাঝে লেপে ফেলার জন্য একটু ভালবাসা
কিছুটা সময় সুগভীর নিঃশ্বাস ফেলার
তাদের সবার সাথেই আমি করেছি নির্মম বিশ্বাসঘাত।
তবুও কী এক নিদারুণ অব্যক্ত আকর্ষণ
আজও কাজ করে সৃষ্টির গভীরে।
বারংবার আঘাতের পর আঘাতে
ক্ষতবিক্ষত হতে হবে জেনেও
মাটি জন্ম দেয় সবুজের,
ফুলের মধুময় বুক বিদীর্ণ হয় ভ্রমরের দংশনে ।
এত আঘাত সহ্য করেও সৃষ্টির আদিকাল থেকেই
পুরুষকে বুক দিয়ে ভালবেসে তাই
হে নারী, তুমিই এই পৃথিবীর সার্থক প্রতিরূপ ।