তোর ঘুমন্ত ঠোঁটের থেকে তুলে নিই
লেপ্টে থাকা গতরাতের অভুক্ত চুমু
শূন্য ঠোঁটে লিখি বৃহদারণ্যক কাব্য।
যোনীমূলে তোর সহস্র কোটি দেবতার বাস
মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়
আমার গয়া, গঙ্গা, বারাণসী, কাবা ।
ভোরের নরম আলোয় দেখেছি তোকে
পীনোদ্ধত পয়োভারে উঠে আসতে
স্নান সেরে সিক্ত বসনে কর্ণদীঘির সিঁড়ি বেয়ে
গুরুনিতম্বে তখন এক মহাকাব্যিক তরঙ্গ ।
ত্বক তোর পদ্মপাতার মত মোলায়েম
স্ফটিক গোলকের মত উজ্জ্বল
একফোঁটা জল সিক্ত চিবুক বেয়ে
নেমে যাচ্ছিল বিলম্বিত লয়ে নাভিমূল পর্যন্ত ।
শরীরে তোর কস্তুরির সৌরভ
নাভিমূলে যুগ যুগান্তরের অমৃতকুম্ভ
সেই কুম্ভ হতে উদগত কুণ্ডলীনি শক্তিই
পুরুষের উদ্যমকে করে তোলে উজ্জীবিত।
সখী তুই প্রকৃতির শ্রেষ্ঠতম দান ।
তোর পায়ের পাতায় চুমু দিয়ে
আজ করলাম এই অঙ্গীকার
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেব
সেইসব পৈশাচিক ধর্মের পুঁথি
যেখানেই লেখা থাকবে
"নারী ? সে তো নরকের দ্বার"।