ন হন্যতে

মণীষ

কিছু প্রেম অজান্তেই হোক
কিছু নিঃশ্বাস হোক অজানা
একটানা বৃষ্টিতে কেউ
দাগ কাটুক জানালার কাঁচে।
কারও ভিজে চোখে ফুটে উঠুক
অচেনা প্রেমিকের ঝাপসা ছবি।
নাই বা হল কোনদিন দেখা
ভালোবাসা কী মিছে হবে তাতে  ?

শুনলাম তুই নাকী আজকাল কবিতা লিখিস  ?
হঠাৎই কী হল তোর  !
তুই তো নিজেই একটি কবিতা
তোর কবিতা লেখার কী প্রয়োজন ।

শব্দের সাথে শব্দ জুড়ে কিছু লেখা হল বটে
তাতে কী কবিতার জন্ম হল  ?
কতটা যন্ত্রণা বুকের ভেতর
জমা রেখেছিস যে কবিতা লিখিস?

মনে পড়ে আজও ফেলে আসা
সেই প্রথম দিনের কথা।

মনে পড়ে কুলিক নদীর কথা।
পক্ষীনিবাসের দিক থেকে
পাকা সেতুটা পেরিয়ে
ঠিক ডানহাতের কোণে
এক শতাব্দী প্রাচীন চলমান বটগাছ
পঞ্চানন স্মৃতিরত্ন।
বাড়ির সামনে কবিরাজ মহাশয়ের ডাক্তারখানা।
পাশেই তার এক ছেলের কাঠের দোকান।

তুই এসেছিলি মায়ের সাথে
তখন  সদ্য ফোটা গোলাপ।
একজোড়া ভীরু চোখ
লুকিয়ে দেখেছিল তোকে।

তারপর আবার দেখা হল
রায়গঞ্জে কলেজপাড়ার চৌমাথার কাছের
ব্যাংকের লাইনে।

তৃতীয়বার দেখলাম তোকে
করণদীঘির বাসস্ট্যাণ্ডে
একা কারও অপেক্ষায় ।

এরপর কতবার দেখেছিলাম ?
গুণে দেখি উনআশী ।

ভীতু ছেলেরাও ভালোবাসে।
তবে চুপিচুপি।

কিছু প্রেম নিঃশব্দ থাকুক
কিছু কবিতা লেখা থাকুক
মনের গভীরতর কোণে।