কে লিখবে আবার ছাড়পত্র  ?

মণীষ

পূর্ণিমার চাঁদ আজও ঝলসানো রুটি
শুধু কলমগুলো বিকিয়ে গেল রাজনীতির নিলামে।

অট্টালিকার মানুষদের বিশ্বাস করে
মোরগটা আজও করে চলে ভুল  ।

ঘরে তার নেই একমুঠো ভাত
ছোট্ট মেয়েটা খিদের জ্বালায় মাটি খামচায়
হোম ডেলিভারী রানার ছোটে তখন
শহরের পথে পথে ঊর্ধ্বশ্বাসে
বিরিয়ানী বেঁধে পিঠে ।
বখশিশ বাঁধা লাথ, জুতো আর খিস্তি
আধঘণ্টার বেশী দেরী হলে।

এ পৃথিবীর বুকে ভরে গেছে জঞ্জাল
রাস্তার নেড়ীকুকুর শহরের ডাস্টবিনে
খুবলে খাচ্ছে আমাদের  আগামীকাল ।

ছিয়াত্তরটা বছর পার হয়ে এলাম
পথে হারিয়েছি দেশলাই কাঠি ।
কেউ আর লেখে না দিনপঞ্জিকা
বিদ্রোহ আজ মৃত মাতৃজঠরে।

আঠার বছর বয়স ভুলেছে বিপ্লব
শিখেছে কৌশল পাশ কাটানোর,  
অর্ধসত্যের যুগে ভাবছে পথের অন্ধকারটুকু
না হয় পার হওয়া যাক  চোখ বেঁধে।

এককালে প্রতিবাদী ছিল যারা
মুখোশ পাল্টে হয়েছে আজকে পুঁজিপতি ।
বিশ্বাসঘাতকের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে
সমাজের শরীরে শুধুই গলিত পুঁজ ।

সবথেকে সুখী আজ ধনপতি সদাগর
রাজার সাথে এক টেবিলে
চলে তার দেদার খানাপিনা
গরীবের কলজে থেকে মাথার ঘিলু
কোনটাই আর আজকাল বাদ রাখে না।

* কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আজ মৃত্যুদিবস।  ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি