যদি কখনও ফিরে যাই

মণীষ

যদি কখনও ফিরে যাই তোমার মাটিতেই
একটু বসতে দেবে তো ?
আবার যদি কখনও গিয়ে দাঁড়াই তোমার কাছে
তোমার নদীতে শীতল হতে দেবে তো ?
আবার যদি কখনও দুহাত তুলে ছুটে যাই তোমার উঠোনে
কোলে তুলে নেবে তো ?

একবার তো ডাক দিতেও পার
ফিরে আয় খোকা।
এই সবুজ ক্ষেতের আল বেয়ে ছুটে আয়। 
দীঘির জলে দাপাদাপি কর।

বীভৎস ১৯৪৬ !

ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল
হাড়,খুলি, গলার নলি।
প্রাণ নিয়ে পালানোর জন্য
মান,সম্ভ্রম সবকিছু ছিল বাজী।
সেদিন কেউ জানতে চায়নি
পলায়মানের ভাষা, ভিটে, মাটি।

সবাই তো তারা তোমার সন্তান।

রে রে করে খোলা শস্ত্র নিয়ে
যারা বীরত্ব দেখাল ভাইয়ের শিরোচ্ছেদ করে
তারাও তো তোমার সন্তান।

ছিন্নমূল জীবনের যন্ত্রণা ।

পঁচাত্তর বছর কেটে গেল
কেটে গেল তিন তিনটে প্রজন্মের
ঘরে ফেরার যন্ত্রণাকাতর সময়।

হে আমার পিতৃপুরুষের পবিত্র জন্মভূমি
তোমার কী কখনও অন্তরে সন্তান হারানোর কষ্ট হয়না?

আজ তোমার অর্ধেক কোল শূন্য।
এ এক কলঙ্কের চাদর শরীরে জড়িয়ে
ইতিহাসের পাতায় বেঁচে থাক অনন্তকাল।