কুলি মজুরদের বস্তিতে আগুন লেগেছিল
পুড়ে ছাই হল শদুয়েক ঝুপড়ি।

আগুন নিভে গেলে
দেখা গেল গীতা, বাইবেল, কোরান পোড়েনি।
নিমিষে ভাইরাল হল সেই খবর
ধর্মের পালে হাওয়া লেগে।
আগুনে পুড়তে গেলে যথেষ্ট অক্সিজেন লাগে
মোটা বইয়ের পাতার ফাঁকে অক্সিজেন কম
তাই ওপরের আর শেষের পাতাই শুধু পুড়তে পারে।
ধর্ম পদার্থবিজ্ঞান বোঝে না।

কেউ জানার চেষ্টাও করেনি
হরিপদ বিশ্বাসের সারাজীবনের জমানো
বিশ হাজার টাকার কী হল।
সামনের সপ্তাহে তার মেয়ের বিয়ে
ব্যাংক থেকে তুলে এনেছিল টাকা কটা।

  
গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক সেলিম চাচার
খুব ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানানোর
মুখের রক্ত তুলে কেনা আধপোড়া বইগুলো
বুকে চেপে অঝোরে কাঁদে চাচা
মেধাবী ছেলেটা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে
তাদের খবর কেউ শেয়ার করে না।

আগুন নেভানোর দুদিন পর
দেখা গেল  নেতাদের।

মঞ্চের পর মঞ্চে একটাই প্রশ্ন
আগুন লাগাল কে  ?
হিন্দু না মুসলিম? নাকী বৈদেশিক ষড়যন্ত্র  ?

টুপী বলে, আমরাই একমাত্র রাখব মুমিনের খেয়াল
টিকি বলে, ভক্তদের জন্য আমাদের বুক পাতা।
অথচ আগুনে এক বালতি জলও তারা কেউ ঢালেনি।

ধার্মিকদের জন্য দেখি সব কুমীরের চোখে জল
ভুখা পেটের কোন ধর্ম হয় না
তাই কেউ বলল না শুধু গরীবের কী হবে  ?