বারাসাতের একটু দূরে
বাস করত এক জোয়ান উড়ে,
সে নাকি রোজ সন্ধ্যে বেলা
পেত্নী র সাথে করে খেলা ।

উড়িষ্যা থেকে কলকাতা  এসে
লাগাল পাণ্ডা নামের শেষে;
রাজু নামটি পাল্টে না দিয়ে
রাজু পাণ্ডা হল পুরো নামটি নিয়ে।

এক থাপ্পড়ে রাজু চরকি ঘুরায়
দুই থাপ্পড়ে সে পরটা বানায়;
তিন থাপ্পড়ে পাঠায় চিঠি
কলকাতা থেকে পানামা সিটি।

গোল বাড়ির কষা মাংস
কিলো দশেকে রাজুর পেটের অংশ;
খেয়ে উঠে দেয় বিকট ঢেঁকুর
দৌড়ে পালায় পাড়ার সব কুকুর।

ফেয়ারলী প্লেসের লুচি আলুর দম
পরিমানে রাজুর  প্রচণ্ড কম;
খেতে এলে সবাই যুক্তি করে
ঝাঁপ ফেলে দেয় দোকান ঘরে।

পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি
প্রাতরাশের মেনুর জীবন সঙ্গিনী;
কুড়ি  প্লেটে  পেটের অর্ধেক ভরে
খেয়ে ডন দেয় রাজু খাবার ঘরে ।

মোয়া খাবে সে জয় নগরের
ডজন দুয়েক এক সাথে;
গাঙ্গুরামের রাধাবল্লভী
থাকবে বাঁধা প্রতি রাতে ই।

মিত্র কাফের কবিরাজি কাটলেট
থাকা চাই সন্ধ্যের  টিফিনে;
জাম্বো দু'ডজন মুঘলাই পরোটা
নিশ্চয় পাওয়া যাবে  আনাদি কেবিনে।

ঘুমালে রাজু নাক ডেকে উঠে
এটম বোমার শব্দে;
মশা মাছি সহ পাড়ার চৌকিদার
প্রাণ নিয়ে পালায় নিঃশব্দে।

একদিন  রাজু  রাস্তা পেরতে
টেম্পো দিল জোরে  ধাক্কা;
রাস্তার পাশে দিব্বি সে হাসে
টেম্পো উল্টে দু'জন অক্কা।

নাম কি শুধালে সে বলে উঠে
মোর নাম  রাজু পাণ্ডা;
নাম শুনেই পুলিশ হেঁকে উঠে বলে
আরে, এই তো সেই বড় গুণ্ডা।

জেল হয়ে গেল পাঁচ বছরের
টেম্পো ধাক্কার অপরাধে ;
ছাড়া পেয়ে  রাজু  ভগ্ন হৃদয়ে
ফিরে গেল উড়িষ্যা র বালেশ্বরে।
********************