আমি বার্ধক্যের শতায়ু চাইনা
আমি চাই তারুণ্যের শতায়ু।
বয়স পরখে পাকা চুল আর ঝুলেপড়া ত্বকে
চাইনা দাঁড়াতে আমি আয়নার প্রতিবিম্বে,
বয়সের হিসেব যেন থাকে শুধু
পাটি গণিতের সংখ্যাত্বত্তে ।
চাইনা আমি কপালে
ভগবানের অঙ্কিত ভাগ্য রেখা ,
আমি আঁকতে চাই আপন রঙেতে
তুলির আঁচড়ে আপন ললাট লেখা।
সোফায় বসে রিমোট হাতড়ে
বসে থাকতে চাই না আমি টিভি সিরিয়ালে,
বয়ষ্ক বন্ধুদের নিষ্ফল আড্ডায়
কালক্ষেপন পরিহারে প্রাত্যহিক প্ৰাতঃভ্ৰমণে।
কলমে আমার ঝরাতে থাকব
সাম্যবাদের গীতে ,
প্রেমের কবিতায় সুবাসে ভরাব
কস্তূরীর সুগন্ধীতে।
বুঝতে চাইব আমি "সেটানিক ভার্সেস"
সাহিত্যের আলোকে,
ঋদ্ব হব আমি "লাইফ ডিভাইন" পাঠে
ঋষি অরবিন্দের লেখনীর ঝলকে।
পুণ্যি পুস্তক পাঠে ধর্মাত্মের লেবাসে
চাই না যেতে আমি স্বর্গের পতিতালয়ে,
বানাব স্বর্গ এই ধারণীতে
ক্ষুধিতের জঠরাগ্নি নিরাময়ের জয়ে।
দেহের সব অঙ্গ দান করে যাব
অদৈন্য মানবিকতায়,
বিবেকের প্রশস্তিতে বেঁচে থাকতে চাইব
ঋষিকল্প একনিষ্ঠতায়।
বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ব
উচ্ছল তারুণ্যের মনে,
ফুটবল খেলব কোপাকোবিনার সৈকতে
“পেলের” ক্ষুদে উত্তরসূরিদের সনে।
লাসভোগাসের ক্যাসিনোতে গিয়ে
খেলব পাত্তি ছোট্ট একটা দানে ,
হেরে যাব জানি ভাগ্য রেখা না মানি
শ্বাস খুঁজবো বাহুলগ্না প্রেয়সীর আশ্বাসনে।
চলতে চলতে কখনও যদি ক্লান্ত হয়ে যাই
বিশ্রাম নিতে চাই না আমি জীবনের আধেক পথে ,
গতি না থামিয়ে চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই
জীবনের শেষ বিশ্রামাগারে, তারুণ্যের পুষ্পরথে ।