মা , এই বন্দুক আমার কাছ থেকে তুমি কেড়ে নাও
আমি চাইনা এই নৃশংস বন্দুক আর ব্যবহারে ;
বিসর্জন করে দাও একে মহা সাগরের অতলান্তে
সভ্যতার কালো হাত যেখানে নিষ্ক্রিয় সাগর মন্থনে।
মা, আমার কাঁধে র তকমা দু'টো তুমি খুলে নিয়ে যাও
নিষ্ঠুরতা র প্রচ্ছন্ন অহমিকা থেকে আমায় মুক্তি দাও;
ছুড়ে ফেল দাও তোমার গনগনে চুলো র আগুনে
উপচে পড়ছে যেখানে ভাতের হাঁড়ি টি
নিম্নবিত্তের সাতটি জঠরের ক্ষিধে নিবারণে।
মা, আমি আর হাঁটতে পাচ্ছি না।
ভারী হয়ে আছে অপরাধ বোধের জমাট বাঁধানো রক্ত
আমার পায়ের জোড়া দু'টো বুটের তলায়,
জোর করে সেগুলো খুলে নিয়ে ভাগাড়ে ফেলে দাও
পরিযায়ী শকুনের ভোজন উৎসবে মুক্ত কর আমায়।
মা, বুলেটের কারখানায় লাল সেলামের তালা ঝুলেছে আম জনতার রোষানল
দেখো, বন্দুকের নলে বের হবেনা কোন বুলেট আর কখনোই কোন কালে;
শুনছি, অনুতাপে নাকি যুদ্ধবাজরা ও জপে র মালা গুনে চলছে পাপ মোচনে
শুধু অপেক্ষায় থেকো, যৌথ খামারের সুখের ভাগ আসবে নিশ্চিত তোমার আঁচলে।
ভেবো না মা, একদিন তুমি ফিরে ঠিকই পাবে তোমার কবিতায় প্রসবিতা নিষ্পাপ পৃথিবীকে।