মৃত্যুর গান গাই -২
মানিক বৈরাগী
আমার মরণ হবে নি:সঙ্গ নি:স্তব্দ রাতে
খোঁজে পাবে পঁচাপুতি গন্ধে মুখরিত বাতাসে।
সেই মোগলদের অরক্ষিত পানশালার পাশের কুটুরিতে অথবা নাছ ঘরের মঞ্চে, ভেজে শেওলার পিচ্ছিল কার্পেটে বুলবুলের ফলিত নৃত্য মুদ্রায়, নির্দেশনায় মুদ্রিত করছি। বিষাক্ত গিরগিটির ছোবল খেতে খেতে
ওরা বেয়ে ওঠে নাছ সজ্জায়, আছকানের ভেতর দিয়ে মাথা অব্দি,সেই বিষে জর্জরিত
ক্রমাগত নীলাব দেহে এলিয়ে পড়ি শব্দহীন পতনে।
একদিন মুখরিত বাতাসে প্রছন্ড জ্যোৎস্নায় হু হু করে তোমাদের নাসারন্দ্রের ভেতর দিয়ে, অনায়াসে মগজের কুটুরিতে ঢুকে যাবে সেই অভিমানের তাক ধিন ধিন শব্দ গুঞ্জরণে।
আতরের খুসবে তোমাদের মসতিস্কের মৃত অনুভুতি চরম উত্তেজনা ছড়াবে। চরম- পরম অভিমানে হারিয়ে গিয়েছিলো কেউ একজন,তোমাদের সময় নির্ণয় ক্ষেপনে বুঝবে কেউ একজন, আমাদের ভোতা বোধের স্পর্শনেন্দ্রিয়ের কোষে কোষে চরম ধাক্কা দিয়ে ছিলো।
আমরা বুঝিনি তাকে, অমিয় চেতনার দেবতুল্য অধিবাস্তবতার আগামীর পথ নির্দেশনা।
তখোন তোমরা আত্মবিস্তারে মোহে অন্ধছিলে।