মানিক বৈরাগীর কবিতা
চলো
চলো
শিশির ভেজা কাকভোরে ঘাসেদের হাসি দেখে আসি
রূপবতী ঘাসফুলের উচ্ছ্বসিত মায়ার ঝিলিক
লালকাডার বালিচিত্র বসন্ত প্রভাতে দারুণ লাগে
প্রাণবন্ত বাতাসেরা মধ্যাকর্ষন ঘূর্ণনে নৃত্যরত
তোমার বেখেয়ালি ওড়না উড়েযাবে ঝাউশাঁকে
বালিচিত্রে শিশির কণা চুমুখায় চুষিত হতে
তারপর আমিও হয়তো শোষিত হবো লোনা জলে।
১০মার্চ কুড়িকুড়ি
##
প্রভাতের ইনানী
পূবের পাহাড়ে রবির লালিমা
কুয়াশায় অরণ্যের লাজিমা
চারদিকে গুবাক তরুর শির
ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস ঝিরঝির
তোমাদের নগরে চৈত্রের খরা
ইনানী চেপটখালি মায়ায় ভরা
হে প্রকৃতি
আমি তোমার ঋণে দিশেহারা।
২৪মার্চ০১৯
ভোর৫টা
##
##
তোমাকে
একদিন বৃষ্টিরা উল্লাসে গান শুনাবে তোমায়
মেঘেরা সমর্পণ করবে চোখের পাতায়
অদুরে দাঁড়িয়ে হাসির ঝলক বিলোবে বজ্র
পুষ্পমঞ্জরি তোমায় ঘিরে বাজাবে এস্রাজ
মেঘবাড়ির পাখিদের ভিড়ে হাসে কিরণ
তানসেনের রবিরাগে সূর্যমুখী হাসে ভিষণ
মুখরিত পুষ্পমঞ্জরি দোলে খায় হাওয়ায়
তুমিও উল্লাসে প্রাণভরে ডাকবে আমায়।
##
জীবন
গৃহপালিত প্রাণী আর গৃহপালিত স্বামী সমব্যথী
২
গৃহবন্দী নরনারী করে কথা-কাটাকাটি
মনের দুঃখে গানকরে খাঁচাবন্দী পাখি।