হীরক পদ্ম
মানিক বৈরাগী
কুহকি পান করো প্রস্ফুটিত বেদনার যারক রস।নীলাভ স্রোতে বয়ে যায় কুহেলিয়া,সেই স্রোতের উউজ্জল পদ্মটি ছল ও ছলের জালে ভাসে আর জ্বলে।
রইলোনা তার স্বাধীন স্বকীয়তা, রুপ ও রূপের রুশ্নাই কাল হলো তার ।জাল ও জলে জ্বলতে জ্বলতে পিঙ্গল রুপটি তাকে আর জলে থাকথে দিলোনা।
একদিন চারদিকে বড় বড় রশির জাল ও লোহার খাচা ফেলা হলো অথৈ জলে। বিস্তির্ণ জলরাশি কে ভাগ ভাগ করে ঘেরা হলো। পদ্মটি পানকৌড়ির মতো ডুব দিলো অতলে।
একদিন কুহেলিয়ার মোহনায় মাছযন্ত্র নেমে এলো সমুদ্র তলে,ওরা তন্নতন্ন করে তীব্র টর্সের আলো ফেলে শামুক ঝিনুক কোরাল সবখানে খোড়াখুড়ি শুরু করলো।
সমুদ্র তলের বুকচিরে তোলা হলো উজ্জ্বল পোড়া কলিজা। কলিজার আলোকরঞ্জন বেদনায় মানুষের কি বিভৎস উৎসব।
মানুষ বুঝলো না পদ্মরুশ্নির আলোয়, তারা সমুদ্র পারাপার করে।
সংশোধন
১৮নভেম্বর ০১৯
২৫সেপ্টেম্বর০১৮