ব্যথার বেদন
মানিক বৈরাগী
সুন্দর এই ভয়ার্থ রাতে ব্যথারা আসে দলবেঁধে
আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের পদধ্বনি শুনি
আঁতকে উঠি, ক্ষণে ক্ষণে ভূকম্পনের মতো কাঁপি
ব্যথারা প্রথমে পায়ের তালুতে আহ্লাদী চুমু খায়
আমি দাঁতে দাঁত চেপে চুমুর সুড়সুড়ি সহ্য করি
তারপর হুংকারে হুংকারে আসে যন্ত্রণার দল
পায়ের তালুতে কামুক কামড়ে দাঁতাল দাঁত বসায়
সৌদিশেখেরা যেভাবে অসহায় বাঙালি নারীকে
প্রথমে বাপ, তারপর পুত্র, তারপর বন্ধুরা মিলে
রাতভর বিকৃত যৌনাচারে সুখ নেয়।

ব্যথা যন্ত্রণা কষ্ট রাতভর বলৎকার করে আমায়
আমার প্রতিটি লোম খাড়া হয়, বাষ্পীভূত লোমকূপ
আমি বেদনায় গোঙাই, ককিয়ে ওঠি, ছটফট করে প্রাণ
তারা আমার অস্থিসন্ধিতে নাচন করে, কোরাস গায়
প্রতিটি অস্থিসন্ধি ফুলেফেঁপে বেলুনে মতো রূপ নেয়
পায়ের তালুতে টকটকে লাল ফাঙ্গাস ফুল ফোটে

প্রতিটি অমাবস্যা পূর্ণিমা তিথিতে তারা উৎফুল্লতায় আসে
আমার অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি, যাদের আমি পারি না এড়াতে
হাস্নাহেনা, গন্ধরাজ বেলি, ছাতিম ফুলের সুরভিত মৌতাতে
বিভৎস কামনার উগ্রবাসনা চরিতার্থ করে অসহায় দেহভাণ্ডারে
আমি গোঙাতে গোঙাতে ভোরের প্রতীক্ষায় থাকি
কখন আসবে ভোর কখন সূর্যের আলোয় পালাবে তারা।
০৩অগ্রহায়ণ ১৪২৬
১৭নভেম্বর ০১৯
কক্সবাজার
##