বেলাজ জোসনা
মানিক বৈরাগী
যতই হাত ছানি দিয়ে ডাকো,ঢেউ তুলো সমুদ্রে ও শোণিতে
চাঁদ তোর কলঙ্ক জানে জণে জণে,শুধু তোর বিরহ যানে না
অনুভুতি,নুনুভুতি কিছুই নেই,কেন তোর কলঙ্ক রটায় লোকে
ক্ষুধার জ্বালায় রুটি বানিয়ে খায় সুকান্ত
যমুনার জলে বজরায় লিলায় মেতেছিল গুরুদেব
কানু রাধার আশে বাঁশি বাজায় বৃন্দাবনে জোসনা রাতে
প্রিয়ার বিরহে সুরবাঁধে গঙ্গা ধারে জোসনা পহরে
ও চাঁদ তুই কি জানিস আমার কলঙ্ক কোথায়
চোখে চোখ রেখে মুখের সাথে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
সত্য ও ন্যায়ের তরে তর্জনী উচিয়ে বলি তুই রাজাকার
নবী ও রাসুলে বিশ্বাসি সুফির জলসায় গীত গাই সর্বেশ্বরের
একাত্তরের প্রাণপণ যুদ্ধে ভাই লড়েছে হানাদারের বিরুদ্ধে
এমনি জোসনা পহর রাইতে চাঁদের আগুনে জ্বালিয়ে দেয় ঘর
মুজিবের নামে মুক্তিযুদ্ধ, লেনিন মার্কসের জ্ঞানে সমাজতন্ত্র
স্বপ্ন দেখা মানুষেরা জোসনার রুপ যৌবনে বিভক্ত বিভ্রান্ত
চন্দ্রাবতীর নীড়ে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে ও চাঁদ ডেকো না
ওখানে সাপ বেজি খেলা করে,রাজ গোকুরো বাৎসায়নে মজে
নারকেল জিঞ্জিরার দ্বীপজলে সর্পিল ঢেউয়ে ,কেয়াবনে,বালুতটে
উচ্ছল উজ্জ্বল নগ্নরুপে একাকিনী শুয়ে থাকে সবিতা চাকমা
জোসনা প্লাবনে শরাবনতহুরা সাথে লয়ে ডেকো তবে
"আমি কুলহারা কলঙ্কিনী "
"কলঙ্ক আমার ভালো লাগে"
কলঙ্কের দায় নিয়ে সীতার পাশে মরমে মরমে পুড়ে রাবণ
চেতনা প্রেরণার জামানায় মধুচুষা মজনুরা ভিড় জমায়
সৈকতের রকে হই হুল্লোড় করে জোসনার মধুচক্রে
রুপাগুন পুড়ে বালুতট ধরে নিরবে প্রস্থান করি কলঙ্কলয়ে
মায়া মরিচিকা বালুচিকায় জোসনার ঝড়ো বাতাসে জ্বলে উঠে
একাত্তরের পোড়া ঘাহ,প্রদাহে
দরিয়ার জলে জ্বলে চেতন জোসনায় ফসফরাসের আগুন
আমি সমুদ্রের বিদির্ণ প্রান্তরে ফতুর হওয়া প্রেমের ঢেউ গুনি
একা একদম একা চুপচাপ।
১৪কার্তিক১৪২৩
জোসনা প্লাবিত কামিনি
২টা২৩যামিনি