আমি তুমি সে
মানিক বৈরাগী

মন চেয়েছিল বলি, দাঁড়াও যেও না, ডাক দিতে কোথাও বাঁধলো,
তাই ডাকিনি, ভয় পেয়েছি তোমার কোকিলা চোখ
তুমিও হন হন করে গিয়েছ চলে, পাশ ফেরোনি

জানি জানি খুব জানি, তোমার সাজানো শোভাঘরে
খুব চিল্লাচিল্লি হয়, আশপাশ পাড়ায় চায়ের দোকান আর সেলুনে
যুবাদের আড্ডায় কথা আর গল্প ফুরিয়ে গেলে তোমরাই বিষয়
পাড়ার বখাটেরা টিটকারি মারে, তুমি খুব নীরবে অফিসে যাও

আমি ঠিক ঠিক সেই লাল চোখ ভদকা দোচুয়ানি টেনে মিষ্টি জর্দায় বাসায় ফিরি
শাহীন বাসায় লেবুর শরবত গ্লাসে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখে
তেঁতুল অথবা জলাপাই আচার টেবিলে রেখে রাত দশটায় ঘুমিয়ে পড়ে
মন চাইলে ভাত সবজি নয়তো একটুকরো মাছ আচারসমেত খাই

সে ভোরে জেগে প্রথমে টেবিলে রাখা নোটপ্যাডে খুঁজে তাজা কবিতা
আমি তার জন্যে প্রতিদিন কবিতা না হয় কিছু লিখে রাখি
আমাকে জাগায় বাজায় অসিফ যাওয়ার আগে , আমরা এক সঙ্গে কবিতা পান করি
তারপর সিগারেট ধোঁয়া ছেড়ে দেই আকাশে
হাসানের সূর্যোদয় খুব মনে পড়ে, সুরাইয়া কেমন আছো