কে যেন অধোমুখো বিকালে এসে শুধালো-
হে,অমন গোমরা করে আনমনে বসে কেন?
এমন সুন্দর মুখে কিসের কালিমা এলো?
এই বসন্তে হে কবি তোমার বলো কি হলো?
সূর্যটার আলোটা মেঘে ঢেকে রেখেছ কেন?
বলিলাম,
বিরহ তো দিয়ে গেছে ভোরের নদী।
সাঁঝের আলোয় কে যেন মোরে ডেকে শুধালো-
হে কবি,বসে বসে কী ভাবছ এই সন্ধ্যাবেলা?
কেমনে বিষাদ জমিল তোমার হৃদয় কিনারে?
কে আজ বান ছুড়িল তোমার বুকের মিনারে?
কার জন্য ভাবছ তুমি,কে তোমায় করিল হেলা?
বলিলাম,
ভাবনা তো দিয়ে গেছে ভোরের নদী।
রাতের খাবার সময় কে যেন মাথা ছুয়ে শুধালো-
ও বন্ধু,এ খাবার আজ তোমার থালায় কেন?
তোমাকে দেখছি কেন খেতে শিশির খাবার?
তোমাকে দেখছি না কেন খেতে সুষম দাবাড়?
এমন অকথ্য খাবার তোমায় কে দিল এনো?
বলিলাম,
খাবার তো নিয়ে গেছে ভোরের নদী।
চাঁদের আলো পোহাবার সময় কে যেন শুধালো-
হে প্রিয়,তোমার বাঁশি আর বাজছে না কেন?
ফুটছে না কেন ও মুখে হাস্নাহেনার হাসি?
বাজছে না কেন আর আগের সুরে বাঁশি?
তোমার আপন গগনে ফুল ফুটছে না কেন?
বলিলাম,
বাঁশির সুর নিয়ে গেছে ভোরের নদী।
যখন সবাই চলে গেল নীরব সুরে কে যেন শুধালো-
হে সাথী,এত দুঃখ তোমাকে মানায় কি কভু?
আমাকে কি বেদনায় তুমি করে দিলে পর?
ছিন্ন কি করে দিলে মনের আসর বাসর?
তোমাকে কি কেড়ে নিয়ে তুষ্ট ওই প্রভু?
বলিলাম,
তুমিহীন সবই নিছে ভোরের নদী।