হাঁটছি-
কোন এক কৃষ্ণ গহ্বর থেকে ছিটকে পড়ে
অবাক বিস্ময়ে আলোর দিকে চেয়েছিলাম,
আর লক্ষ পথ স্থিরও করেছিলাম ঠিক;
আর সেই পথেই নিরন্তর হাঁটছি।
মহাকাশের কোন নক্ষত্র,
কবে আমাকে জন্ম দিয়েছিল
মনে নেই।
মনে নেই-
কোন শূন্যতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।
স্মৃতির সুদূর বর্ণিল বিন্যাসে
শুধু হেঁটে চলা ছাড়া আর কিছুই মনে নেই।
মনে নেই-
বিশ্রাম নিয়েছি কবে-
কোন নির্জনে, শান্ত বনছায়ে।
কবে কোন মায়াবী
তার হৃদয় নিংড়ানো
নির্যাস তুলে ধরেছিল মুখে;
আর সেই অমিয় মোহে
কতকাল-
অবশ কলেবরে
তার কোলে মাথা রেখে
আলসে এলিয়ে ছিলাম
মনে নেই।
শুধু মনে পড়ে-
লক্ষ পথের ধারে ধারে
কদাকার, খাদ্যস্তুপের ভিতর,
অসংখ্য লার্ভা কীটের কিলবিল।
মেরুদন্ডহীন পিচ্ছিল দেহ;
যে কোন সংকীর্ণ গহ্বরে,
নতমুখে,
খুঁজে ফেরে উদর সুখ।
চারিদিকে খোলা হাওয়া
এত আলো, এত সুখ;
বিচিত্র প্রকৃতি
লক্ষ করেনা কিছুই।
শুধু মাঝে মাঝে গর্জে ওঠে-
স্ব-সীমানা নির্ধারণে;
আর বর্জে মুখ গুঁজে পড়ে থাকে নিথর।
লক্ষহীন জীবন-
অলক্ষে আকীর্ণ করে কদাচার।
আজ মনে হয়
ওগুলো কি মানুষ ছিল?
মনে নেই-
মনে নেই।