স্বপ্ন দেখলাম কাল রাতে-
প্রাগৈতিহাসিক এক বুড়ো বটগাছের নিচে
প্লেটোর কল্যাণ রাষ্ট্রের লেবাসে বসে আছে সরকার;
উদরসর্বস্ব দেহ মেদময়।
তিক্ষ্ণ কুঁতকুঁতে চোখ সর্বদাই শিকার সন্ধানী।
শিকারী ঈগলের মত হাত ও পায়ের নখ ইসৎ বাঁকা,
তীক্ষ্ণ সুচাল অগ্রভাগ শিকারোপযোগি।

স্বপ্নে দেখলাম-
তার নখের অগ্রভাগ ও মুখ ভর্তি দাড়িগোঁফের জঙ্গল মানুষের রক্তে রঞ্জিত।
দেখলাম-
বিক্ষিপ্ত ছড়ান কিছু হাড়,
মাথার খুলি, রয়েছে ছড়িয়ে সমর্থনে যার।

আমি প্রশ্ন করেছিলাম, এ কেমন কল্যাণ রাষ্ট্র?
নিভন্ত চোখ থেকে হঠাৎ ঠিকরে বেরিয়ে এল আগুন।
যেন বহু দুর থেকে ভেসে এল ধর্মীয় নির্দেশ,
মানুষের কল্যাণে কাউকে তো আত্মাহুতি দিতেই হয়।
আমার সন্দেহ হয়, এ তো কল্যাণ রাষ্ট্রের কণ্ঠ নয়!

যতদূর সম্ভব গলা বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করি।
রাষ্ট্র ধমক দেয়, রাষ্ট্রের কাজে বাধা সৃষ্টি করা অন্যায়।
আমি তো কোন বাধা সৃষ্টি করিনি?
ওই হল, কিছুটা নরম হয়ে রাষ্ট্র পাশ ফেরে।
আর আমার চোখে পড়ে যায় রাষ্ট্রের খোলসের ভিতর লোকালয় থেকে বিতাড়িত সেই শকুন, শেয়াল ও হায়েনা।

স্বপ্নের মধ্যেও আমি বুঝে যাই আর কথা বলা ঠিক হবেনা-
ধড়মড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠি।
তাড়াতাড়ি তৈরি হতে হবে
আত্মাহুতি দিতে হবে সবার মত
ধর্মীয় কিংবা আদর্শের জন্য
যেমন সবাই দেয়, দিতে হবে আমারো
কারন আমাকে ডেকেছে রুম নম্বর দুই হাজার এগার।