আমি যতটা ভালবাসি
ভালোবাসতে পারি
যতটা দূরে থাকার বিষাদ বইতে জানি
তুমি বোধয় ততটা অপেক্ষার প্রহর পাবে না
কিংবা পাবে না আমার মতন আনন্দ ভুবন
যেখানে ছিলো আস্ত ফুলের বাগান
পাখিদের কোলাহল, ভ্রমরের গুঞ্জর
শুধু মাত্র একটি বসন্ত ফুলের ভালোবাসা নয়
এখানে ছিলো প্রাত্যহিক প্রভাতের পুষ্প শুবাস
ছিলো আগামীর মায়াবী আভাস
কিংবা হৃদয় ছুয়া নির্জনতা
তুমি এখন আর হয়তো তিলে তিলে গড়ে উঠা সেই পৌরানিক প্রেমের গল্প পাবে না
পাবেনা তাৎখনিক কোন অনুভুতি বেলুন
কিংবা পাবেনা এমন সুমিষ্ট ক্ষন
তুমি প্রতিপত্যির সমস্তক পাহাড় দেখবে
কিন্তু অনাবাদী জমিতে জমাট শ্যাওলার বিভ্রান্তি টের পাবে না
তুমি অর্থের বালিস চাপা অবহেলা পাবে
অতৃপ্ত যৌনতার একঘেয়েমি পাবে
সংসার ধর্মের দেবী মঞ্চ পাবে
কিন্তু আমার বুকে মাথা রেখ নিদ্রিত বিলাস পাবে না
ক্ষনিকের মোহ পাবে,সাংসারী অমরত্ব পাবে
কিন্তু এই ভালোবাসার অসীমতা পাবে না
ফিরে আসতে চাইলো ছারখার করা বসন্ত পাবে
পুড়ে যাওয়া সব অনুভুতির বেলুন দেখবে
ঝরা ফুলের বাগান দেখবে
কিন্তু সেই চির সবুজ আমায় পাব না
পুরনো গল্পের নব উত্থান পাবে না
আমাকে পেলেও হয়তো অভ্যন্তরীণ সেই পুরাতন ঝাঝ পাবে না
পুরনো বোতল পাবে
কিন্তু ভেতরকার সেই পুরোনো সুরা পাবে না
পাবেনা সেই মাতাল করা মাদকতা
কিংবা সেই চিরচেনা স্বপ্নডাংগা
একটা ধ্বংসপ্রায় নগরীর হাহাকার ছাড়া কিছুই পাবে না ফিরে এসে
এখানে একরাশ অন্ধকার ব্যাতিরেকে কোন অবশিষ্ট আলো পাবেনা
শুধু পাবে সাংঘর্ষিক হাহাকারদের যোদ্ধক্ষেত্র
নির্বাক প্রান্তরে নৈশব্দে বয়ে যাওয়া বৈশাখী হাওয়া
আর আজীবন নির্বাসন প্রাপ্ত কিছূ বোতল বন্দী ঘাস ফড়িং এর আহত ডানা
কিন্তু সেই চিরচেনা আমাকে আর পাবে না