আজকাল নিজেকে অনুভুতিহীন
পাথর মনে হয়
যার দেহ ক্ষয়ে ক্ষয়ে পরে থাকে শুধু
কিছু পাথুরে ধুলো
আর ঝরো হাওয়ার কবলে পরে
তারাও মিলায়
কোন এক সৃতির জনালায়
কিংবা গত হয়ে যাওয়া
কোন ক্যালেন্ডারের পাতায়
তাই সহস্র আত্মার নির্বাসন
অথবা পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষ সত্তা হনন
অস্তিত্ব হনন অথবা আত্ব হননের বাষ্পীভূত
মেঘ ফুড়ে ঝড়ে পরা
টপ টপ বৃষ্টির জল
শুকিয়ে যায়
এই পাথুরে বুকে
যেভাবে শুকায় শিশির ফুটা
কচি ঘাসের ডগায়
সুর্যের তপ্ততায়
তেমনি ভাবে হৃদয় শুকিয়ে
জড়বস্তু হয়ে পরে আছে
জন্মপুর্বে খচিত দাসত্বের বন্দীত্বে
সংস্কারের ফন্দিতে বাধা
মহাকালের শেকলে
ফলে এই আকাশ্চুম্বী শুন্যতার চুড়ায় বসে শুনছি বিষাদী সুর
অন্তপুরের ধু ধু প্রান্তরে
তাই এত সব অশ্রুজল, বিমুর্ষতা
যুদ্ধ, রক্ত কিংবা প্রাণের বিনাস ঠেকাতে
নিয়োজিত পাজর ভাংগা পাখিদের
ঠোটে বহমান বিচ্ছেদী স্বরে সৃষ্ট
এই বাক্য কিংবা শব্দ
কোন অর্থ বহন করে না
শুধু পাজর বেয়ে ঝর্নাধারয় নেমে আসে বোবাশ্রু ঝরে যায়
অদেখা দৃষ্টির অপর প্রান্তে
তাই নিজেকে মনে হয় প্রস্তর যুগের সর্বশেষ নিদর্শন
যাকে যুদ্ধবিধ্বস্ত হতে হয়েছে
জন্মেরও অনেক বছর পুর্বের কোন
ধর্মযুদ্ধ,সামাজিক পরীক্ষন,শোষন
কিংবা প্রতিপত্তির বুনো থাবায়
তাই মনগৃহে আর্চনার প্রদীব জ্বেলে
মংগল বার্তায় বার্তায় জানাই
তুমাকে, তুমাদেরকে ,তোদেরকে
উড়ে যাওয়া সব পখিদেরকে
কিংবা আপনাদেরকে
ভালো থেকো ওপারে
আকাশের তারা হয়ে
চাদের মেলায় রচিত
কোন কবিতার স্তবক হয়ে
কিংবা কোন হারানো গানের চরণ হয়ে
অদেখা সুখের তরে তাই বিদায় জানাই
সেই সব বলিদানকে
যাদের আত্বহুতিতে আজ আমার
পাথুরে হৃদয় জুড়ে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে
সকল নির্বাক বিষ্ময়
অন্তসরনীর দেয়ালিকা ভরে
তাই নিজেকে আজকালা এই পৃথিবীর
পরিত্যক্ত জড়পদার্থ মনে হয়
অনুভূতিহীন পাথর মনে হয়
তুমাদের বয়ে যাওয়া
এই শুন্যতার অভয়ারণ্যে