আমি প্রচন্ডরকমের একজন ব্যার্থ মানুষ হতে চাই যেই ব্যার্থতার বোঝা আমায় তলিয়ে আবার ভাসিয়ে তুলবে
আমি তুমাদের চোখের এমন ব্যার্থতা গুলোতে বারা বার বৃষ্টি ঝরাতে চাই
ব্যার্থতার নিচে থেতলে গিয়ে আমি আবার এসে দাড়াতে চাই সেই ফ্রেমবন্দী জীবনে
আমি হারিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসতে চাই
ঘুরে দাড়াতে চাই, পাতা ঝড়া শীতের শেষে
বসন্তের সজীব উৎসবে
ফুলের হাসিতে,পাখির কলরবে
আমি প্রচন্ডরকম ব্যার্থ হয়ে নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসতে চাই, অগ্নিদগ্ধ বসন্তের দুয়ারে
যার জলন্ত কয়লা জ্বালানি হবে
সোনালী আকাশ পথে
আমি ব্যার্থ হয়েই উপরে ফেলবো ব্যার্থতাকে
তাই শিলা বৃষ্টির শেষে আমি হেটে বেরাই
হেটে চলি
এখনো তোমাদের পাড়ায়
সোনালী আকাশের উড়ন্ত গাংচিলের ডানায় ভর করে
তীর-ধনু হাতে এগুবো বলে
মহাকালের বনাঞ্চলে
সকল শ্বাপদ-সংকুল পেড়িয়ে
ছুটে চলি তাই তোমাদের ব্যার্থতার জঞ্জাল ভেদ করে
আমি সমস্তক চোখে দাড়াবো পাহাড়ের চুড়ায়
জীবন নদীর বাকে বাকে ছুটে
আমি ঘুমাবো সুর্যাস্তের অসীম সীমানা জুড়ে ছড়ানো তারাদের পাহাড়ায় আগন্তুক চাদের বুড়ির কোলে
অতএব উপেক্ষার সর্বগ্রাসী আধার আমায় ছুতে পারবে না, ভোরের শুভ্রতার অব্দি
এই সুর্যের উত্তাপ শেষ হলেই ফিরবো আমি
বিকেলের সেই হিমেল হাওয়া হয়ে
নাগরিক জানালার সান্ধ্য তারা হয়ে
রাত্রীর জোছনা হয়ে
আমি জলে উঠবো নিভে যাওয়া প্রদিপের আধারে
সুখতারার দীপ্তিতে
ভোরের শুভ্রতা নিয়ে
হ্যা, আমি ফিরবো প্রচন্ডরকম ব্যার্থ হয়ে
ব্যার্থতার গল্প জুড়ে জড়াবো আমায়
এক আকাশ তারাদের ছায়াপথে
সুর্যের হাসি মেখে
অনন্ত অসীম মেঘেদের অন্তরালে
আমি হেটে চলবো
ব্যার্থতাদের ভিড়ে
প্রচন্ডরকম ব্যার্থ হয়ে ঘুড়ে বেড়াবো
ব্যার্থতার বোঝা বেয়ে