শুনতে মানা বলতে মানা!
এমন করে জ্বলতে মানা
পাপ হয়ে যায় পাপ হয়ে যায়
ওদের সাথে চলতে মানা।
-----
তাই বলে কি বলবে নাকো
সত্তা তোমার কেমন ছিল
জন্ম কোথায় কেমন রূপে?
কী খুঁজে যাও কামের চোখে
নানানরকম ফুলের বুকে
কামিনীর ঐ অন্ধকূপে?
তখন তোমার লাজ থাকে না?
কপাল জুড়ে ভাঁজ থাকে না?
চুপ কেন ভাই?
কিছু বলো!
না হয় শোনো আমিই বলি—
পিতার বীর্যে জন্ম তোমার মায়ের গর্ভে
ওমা!
বীর্য শুনে লজ্জা পেলে?
তুমি তো ভাই সভ্য মানুষ লাজুক ছেলে!
আরো শোনো—
বীর্য আছে বৃক্ষ বীজে
পাখির ভেতর মাছের ভেতর
ফুলে ফুলে পরাগ মাঝে
যা দেখো এই সৃষ্টিকূলে।
কবির কলম চলে যখন
মুহূর্মুহূ বীর্য ঝরায় কালো কালো—
পাতায় পাতায়
কবিতা ও গল্প হয়ে
জন্মে তখন অনেক শিশু
সমাজ জাতি রাষ্ট্র গড়ে
আপন প্রভায় সেসব যীশু।
লজ্জা কেন এতো তোমার!
গণিকালয় আঁধার রাতে
যখন তুমি ঢালতে থাকো মনের সুখে
তখন তোমার লাজ থাকে না?
পোড়ামুখে সভ্যতাটার ভাঁজ থাকে না?
আরো শোনো
মাতৃস্তনে শিশুর পুষ্টি
ওমা!
চমকে গেলে?
স্তন কী শুধু নারীরই হয়?
বা কি তোমার প্রেমিকারই?
সে তো— তোমার মায়েরও হয়
যেখান হতে পুষ্টি নিয়ে পুষ্ট হলে
অবোধ বেলায় পেটটা ভরে তুষ্ট হলে
এমন করে আরো কত স্তন যে আছে
মাটির স্তনে বৃক্ষরাজি হয় যে সবুজ
মেঘের স্তনে তৃষ্ণা মেটায় বসুমতি
নদীর স্তনে বেড়ে ওঠে ফসলি মাঠ
আরো আছে আরো আছে
গাছে মাছে জলে স্থলে
কাব্যভেলার গলুই তলে
কবিতারও স্তন হয় ব্যাটা
যেখান থেকে পুষ্ট পুষ্ট শব্দ ঝরে
দেশকে বাঁচায় দশকে বাঁচায়
তারই অমোঘ পুষ্টিগুণে।
মৈথুনে ক্যান নাকটা কাটে?
জগৎ ভরে সৃষ্টিকূলে
মুহূর্মুহূ সৃষ্টি খেলা
বুঝো না ক্যান অবোধ বালক!
কে ডুবেনি এমন খেলায় বলো দেখি?
পিপীলিকা নয়তো হাতি
মৌমাছি বা বনের পাখি
ক্ষুদ্র হতে বৃহৎ প্রাণী।
তবু তারে কইতে মানা
লাজে মরে সভ্যতাটা
নষ্ট পথের ভ্রষ্ট পথিক
যখন ডোবে পষ্ট কামে
সভ্যতাটার নাক কাটে না?
ক্যান কাটে না? ক্যান কাটে না?
নিষিদ্ধ সব শব্দ লয়ে
কবি যখন খেলেন খেলা,
অবাক চোখে সবাই দেখেন
সভ্যতারই বসে মেলা।
♦
১৩ জুলাই ২০২০
কুমিল্লা।