হ্যালো
- আসবে কি?
বলছো তো? তুমি বললে আসবো বৈকি!
- আমার বলায় কি এসে যায়?
প্রিয় যে!
- কতটা?
জানিনাতো!
- অজানা থাক, জেনে কাজ নেই।
হুম তবে তাই থাক। থাকবে কি?
- কি?
কিছু না। ঘুমোও তুমি।
- তাহলে ঘুম পাড়িয়ে যাও
আমি এলে কি ঘুমাতে পারবে?
- মনে হয়না আজ আর ঘুম হবে।
মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো? আর চুলে বিলি কেটে? ঠিক ঘুম আসবে ক্ষণ!
- খুব কান্না পাচ্ছে।
উহু, কষ্ট দিতে চাইনি তো।
- না রে সেজন্য নয়।
কেন এতো প্রিয় হয়ে যাচ্ছ!
- আমার চারপাশটা জানে, কতটা আঘাত নিয়ত হাসিমুখে সয়ে যাই।
সব কেন একা সয়ে যাচ্ছ?
- আমার পৃথিবীটা যে একা হয়ে গেছে!
ভাগ করে নাও কমে যাবে।
- যে ভাগ নিতে আসবে, হয় তো সেই বেশি কষ্ট পাবে নয়তো দিবে।
কেন এতো কষ্ট পাও?
- হাসতেছি, খেলতেছি হঠাৎ কোথা থেকে কষ্টের জোয়ার ভরে এলো বুঝলাম না।
আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে, হয়তো আমিই তোমাকে কষ্ট দিলাম।
- নারে প্রিয়, তা নয়। অন্তত তুমি কষ্ট পেয়ো না।
প্রিয় মানে কি? কি করে প্রিয় হয়?
- তুমিই বলো, কি মানে আর কেমনে হয়?
আচ্ছা বাদ দাও। আগে বলো- কবির কষ্ট কবিতাকে না ছুঁয়ে গেলে প্রিয় হওয়া যায় কি?
- হৃদয় হৃদয়কে বুঝে নিলেই সে প্রিয়, সন্দেহ নেই।
কষ্টগুলো বুঝি হৃদয়ে থাকেনা!
- ওরে পাগল কষ্ট তো হৃদয়ের সওদা!
হৃদয় কি তা লুকিয়ে রাখে? নাকি রাখতে পারে? প্রিয়দের যে অবাধ যাতায়াত সে মনের ঘরে।
- হৃদয়! কেবলই তা আঁধার বৃত্ত , প্রবেশের দ্বার রুদ্ধ। কোন দরজা নেই, জানালা নেই!
তবে প্রিয়কে রাখলে কোথায়? সেকি তবে রুদ্ধ দ্বারে কেঁদে কেঁদে মাথা ঠুকে মরছে?
- না, জিবনটা বালুচর; হৃদয়টা খেলাঘর। কোথায় রাখি বলো তো!
জিবনে রাখলে কি হৃদয় ছুঁবে না? নাকি হৃদয়ে রাখলে জিবনে আসবে না?
- দু'টো একসাথে থেকেও কখনো আলাদা মনে হয়।
তবে তো সে কোথাও ছিল না। না হৃদয়ে- না জিবনে। সেতো মরীচিকা।
- ছিল তো অবশ্যই, আমার নিশ্বাস আর বিশ্বাসে তার নিবাস।
কিন্তু হৃদয়? কেবলই তা আঁধার বৃত্ত! রুদ্ধ সব দ্বার!
- সে অনিচ্ছায় আমা হতে দূরে, আমি কভু দূরে নই, কেন? খুলে রাখব?
কবিতা! হাসালে তুমি।
কেউ বললেই কি তা খুলে যাবে?
না কি সেটা খুলতে চাইলে তুমি রোধ করতে পারবে?
সে যদি আঁধার কেটে আলো নিতে চায়-
তবে বাঁধিছো কেন তারে মিছে অভিমানে!
- বাঁধিব এমন সাধ্যি আমার নেই, এ এক সীমাহীন, মাত্রাহীন, অফুরান সম্ভার!
নাকি বাঁধিবে না! পালাতে চাও? বলো কোথায় যাবে? হয়তো সেপথ আমিও চিনি!
- সব পথই তোমার চেনা, আমি কোথায় পালাব? যাবই বা কোথায়?
তবে বালুচরে বাঁধ খেলাঘর।
- তুমি বেঁধে নাও সকল বিশ্বাসে।
আর নিঃশ্বাসটা! কে রবে হেথায়?
- যদি কষ্ট না হয় নিশ্বাসের ভাঁজেভাঁজে গেঁথে যাও।
তবে তো বালিকা তোমার ফুসফুসটাও বেদখল হলো।
সেখান থেকে রক্তে বাহিত হয়ে তোমার হৃদয় ধমনী-
শিরা উপশিরা এমনকি-
তোমার সমস্ত অস্তিত্বের দখলও নিলাম ছিনিয়ে।
কি! করবে কি এখন?
এসো বিলীন হয়ে যাও আমাতে।