তুমি কাকে শব্দের গর্জন দেখাচ্ছো?
কবিকে?
যিনি ভয়ঙ্কর বজ্রপাতের শব্দকে ধরে এনে নিমিষেই গান বানিয়ে ফেলেন—
তাকে?
তুমি কাকে রক্তপাতের ভয় দেখাচ্ছো?
কবিকে?
যিনি রক্তাক্ত প্রান্তরে বন্দুকের ট্রিগার ছুঁয়ে
অনায়াসে বাজিয়ে যান গীটারের সিক্সথ স্ট্রিং—
তাকে?
শুনে রাখো হে টাই স্যুট বুট
শুনে রাখো হে সু-বেশী পরিপাটি ভদ্রমহোদয়গণ
শুনে রাখো হে মেকি হাসির অপরিসীম ভণ্ডামি
কবির সামনে করজোড়ে নত হয়ে থাকো
ন্যুব্জ বৃক্ষের ন্যায় অবনত মস্তকে দাঁড়াও
বিনীত ভঙ্গিতে ক্ষমা চাও
স্বয়ং বিধাতার বর কবি— ক্ষমা করলেও করতে পারেন।
তুমি কাকে মৃত্যুর ভয় দেখাচ্ছো?
কবিকে?
যিনি এক মহাকাল আয়ু নিয়ে এসেছেন—
তাকে?
তুমি কাকে বন্দি করার ভয় দেখাচ্ছো?
কবিকে?
যিনি বিক্ষুব্ধ শব্দের হুঙ্কারে লোপাট করে দেন ঐ লৌহ কপাট—
তাকে?
শোনো হে উদ্ধত বেয়াদব
শোনো হে অভদ্র আচরণ
শোনো হে বর্বর অযোগ্য উচ্চারণ
শোনো হে অপরিসীম ক্ষমতার মস্তিষ্ক
কবির সামনে গলা নামিয়ে কথা বলো
স্যালুট ঠুকে সসম্মানে তার পথ ছেড়ে দাও
তার একটি ফুঁ'তে তোমার মানচিত্র উড়ে যাবার আগেই—
পায়ে পড়ো
নাকে খত্ দিয়ে ক্ষমা চাও
বিচিত্র খেয়ালি ভবিষ্যৎ দর্পণ মহাজাগতিক স্বপ্নদ্রষ্টা কবি— ক্ষমা করলেও করতে পারেন।
♦
১ জুলাই ২০২০
কুমিল্লা।