জীবনে চলার পথে কিছু কিছু স্মৃতি কিছু মুহূর্ত থেকে যায়। যা চাইলেও মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। সময়ের বেড়াজালে আবদ্ধ রয়ে যায় স্মৃতিপটে। সমুদ্রের বহমান স্রোতের মত হঠাৎ করে আছড়ে পড়ে হৃদ মাঝারে। মুহূর্তেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় সাজানো সেই স্বপ্নগুলো। ভাঙ্গা আয়নার কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙেচুরে খন্ড বিখন্ড হয়ে যায় বুকের ভিতরে জমে থাকা প্রেমময়ী দৃশ্যপটগুলো।
রবি ঠাকুরের সোনার তরীতে চরে, বঙ্কিমচন্দ্রের বিষবৃক্ষ আর আনন্দমঠ পেরিয়ে তাইতো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের করুন সুরে বলতেই হয় কেউ কথা রাখেনি ,কেউ কথা রাখে না।
ব্যস্ততার এই শহরে নিজেকে রাঙাতে ব্যস্ত সকলে। আমিও তার বিকল্প নই। বদলে ফেলেছি নিজেকে নিজের মত করে।
অনামিশার রাত্রি শেষে শিশিরভেজা কোন এক স্নিগ্ধ সকালে কেউ একজন চুপিসারে বলেছিল ভুলে যাও আমাকে। আমি কথা রেখেছি তাঁর। বুকের ভিতরে একরাশ কষ্ট লুকিয়ে বলেছিলাম সুখী হও, সুখে থেকো। সেই থেকে আজোবধি কত সহস্র দিন কেটে গেছে কথা হয়নি দুজনার।
যে পাখি একবার নীড় ছেড়ে যায়, সে আর ফিরে না নীড়ে। জানি তুমিও আর ফিরবে না। তোমার প্রিয় নাম ধরে ডাকবে না আমায়। জীবনের কঠিন সন্ধিক্ষণে দুজনে আজ পৃথিবীর দুই প্রান্তে। কষ্টের তীব্রতাগুলো বরফগলা নদীর মতোই আজ বহমান। জানি মানুষ প্রতিনিয়তই হেরে যায়, তাঁর নিয়তির কাছে নয় বরং তার বিবেকের কাছে। আমিও হেরে গেছি আমার বিবেকের কাছে।
সময়ের ব্যবধানে সকল প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে যায়। তুমিও হারিয়ে গেছো আমার জীবন থেকে। জানি তুমি আসবেনা ফিরে। বাসবেনা ভালো আমাকে, বাসবেনা ভালো আমাকে।