চাই নিরাপদ সড়ক
তবে নেই এর সঠিক তদারক,
হর হামেশায় চলছে গাড়ী
যেখানে সেখানে ব্রেক করি।

দ্রুত গতিতে চলে গাড়ী
কে কার আগে যাবে, চলে আড়াআড়ি,
পথযাত্রীরা কখন রাস্তা দেয় পারি
একটুও নেই হুশ, গায়ে দেয় মারি।

যতো সব লোকাল বাস
যানজট বাড়ানো তাদের কাজ,
তাদের কাছে নিয়মের নেই কোন বালাই
ডানে বামে না তাকিয়ে শুধু গাড়ী চালাই।

যেখানে সেখানে গাড়ী পার্ক করে রাখি
বড় সাহেবদের গাড়ী বলে টহল পুলিশকে দেয় ফাকি,
একের পর এক চলে ক্ষমতার বড়াই
দুই টাকা হাতে পেয়ে অসাধু সার্জন, এর বিরুদ্ধে করে না লড়াই।

আইন আছে কাগজের পাতায়
এ কথাটি আছে সকলের মাথায়,
বাস্তবে নেই এর সঠিক প্রয়োগ
হাজারো জনতার আছে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ।

বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় দূরপাল্লা সড়কে
বাহাদুরী দেখিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে দেখায় বড় কে,
চালক মনে করে, সে রাস্তায় একাই রাজা
তবে একটি বারও বুঝেনা যে, তার পিছনে বসে আছে অসংখ্য যাত্রী প্রজা।

সড়ক হচ্ছে এখন মরনের ফাঁদ
যখন তখন বয়ে আনে মরনাঘাত,
নিমিষেই নিঃশেষ অকাল জীবন তরী
হঠাৎ বজ্রাঘাত হানে পরিবারের উপর, সমাজ হয় ভারী।

রাষ্ট্রের কর্ণধারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই
জনস্বার্থে নিরাপদ সড়ক নির্মান করবেন তাই,
যাতে আর একটি প্রান অকালে না যায় ঝড়ে
প্রথমে নিরাপদ জীবন, অন্য কিছু পরে।

জীবন যদি নাই বাঁচে
অন্য কিছুর মুল্য কিবা আছে,
তাই সকল শ্রেনী পেশা শপথ করি
নিরাপদ জীবন ও সড়ক গড়ি।


তারিখঃ ১৬/০৪/২০১৮

বিঃ দ্রঃ  গত মাসে (এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় দুই বাসের মাঝখানে পড়ে রাজীবের একটি হাত কেটে যায়, অবশেষে ছেলেটি মারা যায়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দূর্ঘ্টনায় প্রতিদিন অনেক নিস্পাপ প্রান হারাচ্ছে। মূলত এই কবিতাটি লেখা হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য।