তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
জাতির অধিকার বঞ্চিত না হবার চেত নাতে।
ব্যক্তি ও দলের চেয়ে দেশ বড় সেই চেতনাতে,
দেশের প্রচলিত আইনের অবাধ গতিতে।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
সমাজের বিবেক,সাংবাদিকের কলমের স্বাধীনতায়,
সত্যবাদীর নির্ভয়ে সত্য বলতে পারায়,
পথীকের নিশ্চিন্তে পথ চলার ব্যবস্থাপনায়।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
রবীঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীতের গহীনে-
সারা বিশ্বে অমর ৭ই মার্চের ভাষনে,
কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতায় মহাসানে।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ধমনীতে।
জনতার কাঙ্ক্ষিত গনতন্ত্রের অবাধ গতিতে,
মায়ের অকৃত্রিম কোলে শিশুর অনিন্দ্য হাসিতে।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
নগ্ন শিশুর কাদামাখা নিষ্পাপ শরীরে।
দেশপ্রেমের টানে তারুণ্যের মহা উচ্ছাসের ভীড়ে,
বটের ছায়ায় রাখালিয়া বাঁশির সুরে।
তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি আমি,
বাঙালি জাতির দেশপ্রেম চেতনায় অফুরাণ।
তুমি অদৃশ্য চির জীবন্ত এক মহাপ্রাণ,
দোয়া করি তুমি হও জান্নাতের মেহমান।