জীবন চলার পথে বারবার আসে বাঁধা
সুখের হাসি ফোটে না শুধু দুঃখেতে কাঁদা।
রিক্ত, ছিন্ন, নিঃস্ব, হৃদয়টা সর্বহারা,
বহিনি কখনো-বহিবেনা আর প্রেমের ফল্গুধারা।
পৃথিবীর পরে ওহে নর নারী,
কন্ঠাকির্ণ দুর্গম বন্ধুর পথ দিতে হয় পাড়ি।
লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই পৃথিবীর পরে
ভূপৃষ্ঠে নেমে এসেছিল আদম হাওয়া-
শুধু বেঁচে থাকার সংগ্রামের ত্বরে।
আনন্দ, সুখ, হাসি, গান, যদি নাইবা পেলাম,
দুঃখটা রে বন্ধু ভেবে বুকে জড়ালাম।
দুঃখী হয়ে আর একজনের দুঃখ বুঝতে পারা,
তবে তো প্রমাণ হবে আমি সৃষ্টির সেরা।
একাকী আমি গহীন রাতে,
খেলা করি জোনাকির সাথে।
মিটিমিটি জোনাকি জ্বলে,
ক্ষনিকের তরে দুঃখটা ভোলে।
রাতের আকাশে হাজারো কোটি নক্ষত্রের মেলা,
ভোরের বাতাসে পাখিদের ডানা মেলে চলা।
দুই নয়ন ভরে দেখি যখন,
ক্ষণিকের তরে শান্তনা পায় তখন।
সহশ্র লাঞ্ছনা-গঞ্জনা প্রবঞ্চনা সয়ে,
তোমারি প্রতীক্ষায় ছিলাম চেয়ে।
বেঁচে আছি দুঃখ ভরা হৃদয় নিয়ে,
প্রেমের ভিখারী সেজে পৃথিবীর পরে।
দুঃখের এই দিন চিরদিন থাকে না রে,
সুখ পাখিটা ডানা মেলে উড়েও আসতে পারে।
সূর্যটা যখন অস্ত যায়,
পৃথিবী তখন আঁধারে হারায়।
পূর্ব দিগন্তে প্রভাতের সূর্যটা যখন হাসে,
আঁধার পৃথিবী তখন আলোর বন্যায় ভাসে।
চতুর প্রান্ত এই বর্ষণমুখর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়,
মৌ মৌ সুভাশিত রজনীগন্ধায়।
দুদিনের খেলা ঘরে কত যে খেলি পুতুল খেলা,
সব খেলা সাঙ্গ করে ভাসাই ওপারের ভেলা।
আমায় যেন কে ডেকে যায়~~
কত কাল রবে তুমি এ ধরাই?
বাঁধন ছিঁড়ে চলে এস ওপারের মেলায়,
পূর্ণের ডালি নিয়ে স্বর্গের বাগিচায়।।