পৃথিবী তোমার বুকে জীবন,
তোমার উপরেই হবে মরণ।
চির সুন্দর পৃথিবী আমারে,
বেঁধে রেখেছো বাহুডোরে।
কখনো সুখ কখনো দুঃখ
কখনো হাসি কখনো কান্না
কখনো ঝড়ঝঞ্জা, টর্নেডো
সাইক্লোন, তুফান,
কখনো নদীতে ভেসে আসে বান,
কখনো আগুন ঝরানো খরা,
কখনো বা বন্যা।
জীবন এভাবেই বয়ে চলে নিরবধি
মহাকালের আহ্বান অবধি
সীমাহীন কষ্ট দুঃখের সাগরে ডুবে,
বেঁচে আছি আমি এই ভবে।
হৃদয়ে আমার,
অনেক বেদনার
অবিরাম জ্বলে তুষের আগুন,
জীবনে আসেনি কখনো বসন্তের ফাল্গুন।
তোমাদের জীবনে আছে স্বর্গীয় মধুর প্রেম,
আনন্দ গানে পরিপূর্ণ তোমাদের হেরেম।
প্রেম ভালোবাসা জীবনে আসেনি আমার,
পুড়ে পুড়ে হৃদয়টা হয়েছে অঙ্গার।
শর্বরীতে নয়নের ঝর্ণাধারা প্লাবিত হয়,
প্রেম সোহাগের অভাবে হৃদয়টা মরুময়।
হায়রে পাষাণ হৃদয়,
চলে গেলে আমারে কাঁদায়।
কি করে যে আছি বেঁচে,
সুন্দর এই পৃথিবীতে।
মহাকালের আহবানে
অনন্ত পারাপারের অপেক্ষায়।
বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির মাঝে খুঁজি সান্তনা,
প্রকৃতি আমারে কখনো করে না বঞ্চনা।
পাখিদের কলতান, ভ্রমরের গুঞ্জন ফুলের সুবাস,
আর শীতল পরশ মধুর বাতাস।
আমার কষ্টে ভরা ব্যতীত প্রাণে,
অনাবিল অবিরল প্রশান্তি আনে।
গভীর রাতে আকাশের পানে তাকিয়ে,
দেখি হাজার কোটি তারার ঝিকিমিকি।
অরণ্য বনানীর মাঝে তাকিয়ে,
দেখি জোনাকির আলো জলে মিটিমিটি।
প্রেমহীন জীবনে প্রকৃতির প্রেমে মগ্ন আমি,
সাগর পাহাড় পর্বত আমারে টানি।
মরুভূমির সম হৃদয় আমার প্রকতির প্রেমে সিক্ত ,
হাজারো দুঃখ কষ্টেও ভাবিনা নিজের রিক্ত।
স্বর্গীয় প্রেমের স্বাদ,
একমাত্র প্রকৃতির মাঝ।
নিজের এই ছোট্ট জীবন টারে,
ব্যর্থ হতে দিব নারে।
হৃদয়ের সশস্ত্র নির্বাক হাহাকার,
বেদনা দিয়েছে, পরাজিত করেনি আমার।
সৃষ্টি জগতের কল্যাণে ঝরাবো রক্তধারা,
থেমে যাবে একদিন নয়নের অশ্রুধারা।
প্রকৃতি প্রেমের দীপ্ত শিখায়,
আধার এ জীবন হবে আলোকিতময়।
পাষাণ হৃদয়ে বহিবে প্রেমের ঝর্ণাধারা
হে-নারী তোমার প্রেম হারিয়ে আমি হইনি সর্বহারা।
আমার ঠাই দিয়েছে “পৃথিবী’ তার বুকে,
তারে ভালোবেসে চিরকাল থাকি যেন সুখে।
মরনের ডাক আসিলে,
জানি চলে যেতে হবে ওপার।
পড়ে রবে মায়ায় বাঁধনে,
জড়ানো ‘পৃথিবী আমার।।