হে –
আদম সন্তান আশরাফুল মাখলুকাত,
সহসা এ ধরায় এসে গড়িলে আবাস।
মা-এর অন্ধকার গর্ভে থেকে হয়ে উদয়,
সৃষ্টির সেরা বলে দিলে পরিচয়।

এবার মানব তোমরা বড় হও ধীরে,
পাপ থেকে বেঁচে থাক দু‌‌দিনের নীড়ে।
আঁধারে না যেয়ে চল-মানব আলোর পথে,
রবের নাম মুখে লয়ে জীবন চলার রথে।


হে –
মানব! সত্যের ঠিকানা খুজো করনাকো ভয়,
আলোর পথে সত্যের ঠিকানা, ভুল কভু নই।
পথে যেয়ে বিশ্বাস রাখ স্রষ্টার
নইলে কেহ পাবেনাকো কভু নিস্তার।

হে –
মানব সন্তান! আঁধারের মাঝে মরনের ভয়,
আলোর পথে জান্নাত রাখা, মরন সেথা নই।
বিবেক বুদ্ধি সবই দিলাম তোমায়,
আঁধার থেকে আলোর পথে আয় চলে আয়।


আমাকে ইবাদত করো বিধিমত,
বাঁচার তরে সংগ্রাম চালাও অবিরত।
দেখিবে পৃথিবীতে আসিবে স্বর্গ নেমে,
পাপ-তাপ গ্লানি সকলই যাইবে থেমে।

হে-
মানব জাতি। আমাকে চিনিবে যদি চলো আলোর পথে,
উচু শীর তুলে.. …. … পদে পদে।
দেখিবে হে মানব সর্বস্ব আমি তোমাতেও আমি,
আমি অনন্ত অসীম,
আমার সৃষ্টি সসীম।
আমি ভালোবেসেই তোমাদের করেছি সৃজন,
হে মানব তোমরা পাপে পাপে ভরনা ভুবন।
আমার সাথে কাউকে করোনা অংশীদার,
যদি করো পাবে নাকো নিস্তার।
আসমান, জমিন, সাগর, মহাসাগর,
পাহাড়, পর্বত, অরণ্য, মরু প্রান্তর,
চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তাঁরা,
আমার গুনগান দিবা, রাত্রি, করে তারা,
হে মানব-
দিয়েছি তোমাদের আসমানী কিতাব পাঠিয়েছি লক্ষ লক্ষ নবী রাসুল-
ইবলিশের চক্রান্তে দিতে যাতে না হয়, তোমাদের পাপের মাসুল।
এমন কোন গোত্র জাতি নাই
তাদের কাছে আমি নবি-রাসুল পাঠাই নাই।
আমি সমগ্র সৃষ্টির একমাত্র রব,
দৃশ্য-অদৃশ্য আমার সৃষ্টি সব
অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমাদের সৃষ্টি করি নাই,
রবের আদেশ নিষেধ মেনে ইবাদত করো এটাই চাই।
তোমাদেরই তরে জানাবার,
কিতাবে করেছি বর্ণন বারংবার,
পাপীরা যাবে জাহান্নামে,
পূণ্যবান অনন্ত কাল রবে জান্নাতে।
নবী-রাসূলগণ বলেছে তোমাদের,
বলেছি আমি আসমানী কিতাবে।
তৌহিদের বাণী প্রচার করেছে নবী রাসুল
কর্ণপাত করনি তোমরা করিয়াছো ভুল।
জাহান্নাম জ্বলছে সর্বক্ষণ–,
আমার বিধান মেনে চল করো স্মরণ।
পাপযদি হয়ে যায় ক্ষমা চাও তুমি,
গাফুরুর রহিম আমি ক্ষমিবো আমি।
আমার জন্য জীবন দাও কোরবান,
সাজিয়ে রেখেছি আমি জান্নাতি উদ্যান।
আমি যারে ভালোবাসি,
তারে দুঃখ-কষ্ট রোগে ফেলি।
এতোটুকু কষ্টে,
আমারে ভুলে গেলি!
আমারে যে ভালোবেসে দেই জীবন,
জান্নাতে‘শরাবান তহুরা’ পানে তারে করিব বরন।
আমি চির অনাদি-অনন্ত অসীম গরীয়ান মহিয়ান,
আমি ‘গাফুরুর-রহিম' 'আর-রহমান'।।