তোমরা কি শুনতে পাও?
রাতের নিস্তব্ধতার মাঝে
একটি চাপা কান্না ভেসে আসে,
একটি ছিন্নভিন্ন স্বপ্নের আর্তনাদ,
একটু বেঁচে থাকার ব্যাকুলতা ।

তোমরা কি দেখতে পাও একটি কচি ফুল,
সুর্যের আলোতে ফুটতে চেয়েছিলো,
কিন্তু নরপশুর নির্মম ছোবলে
ভেঙে গেলো তার সমস্ত রঙ,
নষ্ট হলো তার গোধূলি স্বপ্ন।
ক্ষতবিক্ষত হলো তার দেহ।

ধুলোয় লুটিয়ে পড়লো সে,
তার ইচ্ছেগুলো চাপা পড়লো
নির্দয় হাতের নিষ্ঠুরতায়।

আর কতকাল এভাবে,
নারীর আর্তনাদ ঢেকে রাখবে সমাজ?
আর কতকাল সভ্যতা নির্বাক থাকবে?
আর কত কাল বিচারের নামে প্রহসন চলবে?
আর কতকাল  আছিয়া, তনুরা ধর্ষিত হবে..?

আমি লজ্জিত,
তবে কি এদেশ, এ জাতি, ধর্ষকের...?

সময়ের ঘড়ি কি থামবে না কখনো,
বিচারের একটুখানি আলো কি আসবে না?

তুমি, আমি, আমরা সবাই—
এই নরকযন্ত্রণা রুখবো কবে?
নীরবতা ভেঙে আওয়াজ তোলো বাংঙ্গালী,
এই আঁধার ভেঙে আলো আনো,
নারীর কান্নাকে মুক্ত করো!