একদা রাজা গর্জে উঠে বললেন শোনো রাজরানী
সাত কন্যা জন্ম দিয়েছ, এ নহে আমার প্রার্থনার বাণী
পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে এবার করো আমায় সুখী
রাজ্যে তোমার ঠাঁই হইবে আজন্মকাল যপী,
না হয় যদি জন্ম দাও আবার কন্যা সন্তান
রাজপ্রাসাদে বইবে এবার তোমা রিক্তের ম্লান ।
এবার রানী ক্ষিপ্ত মনে হইলো অশান্ত অস্থির
রাজার কথাই চিরধার্য, অনড় সে মহাবীর ।
ভাবতে ভাবতে হাপিয়া উঠল রানী কী হবে উপায় !
অন্ধকার ঘোরে অক্ষি পাপড়ি নাহি নিদ্রা, মিলছেনা তবু সায় ।
সকাল বেলায় প্রজাদের রাজপ্রাসাদে ডেকে বললেন রাজরানী, তোমরা আমার ভাই
আমাকে বাঁচাও যদি তোমাদের দেব আমি আমার রাজপ্রাসাদের উচ্চ আসনে ঠাঁই ।
এবার রানী শক্ত হস্তে ধরলো রাজ্যের হাল
রাজাকে বন্ধী করে নিজেই সিংহাসনে বসলেন
অন্ধকার কারাগারে বন্ধী রাজা উদ্বেলিত অস্থির বেহাল ।
কন্যাদ্বয় আস্তে আস্তে সুশিক্ষিত হলো সমাজের কর্ণধার
রাজার বংশ আলোকিত হলো নেই কোন অন্ধকার ।
বারো বছর পর কারাগার হতে মুক্তি পেয়ে রাজা দেখলেন রাজ্যের হাল
ঝলমল আলোতে আলোকিত রাজ্যে সবে সু-উচ্চতর ।
এবার রানী রাজাকে দেখিয়ে বললেন, হে মহারাজ দেখুন আপনার কর্ম ফল
কন্যা বলে অবহেলা করা শ্রেয় নয়, আজ চির উন্নত উজ্জ্বল আপন কন্যাদ্বয় ।
রানীকে করিল মহা সম্রাজ্ঞী রাজা রানীর গুনেতে মজে
বীরমদে মত্ত রাজা কন্যাদ্বয়ের সু-কর্ম ফল দেখে
আবার সিংহাসনে বসে রাজ্যের হাল ধরলেন রাজা, আপন সুখের লাগি ।