টিক টিক করে ঘড়ি এগিয়ে চলছে…
জীবনের মূহুর্তগুলো প্রহর গুনে গুনে নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমি এখন জীবনের সপ্তম প্রহরের অপেক্ষায় আছি।
জীবনের প্রথম প্রহর হেলা-ফেলা,বাবা-মার আদর-যত্ন
আর অবুঝ শিশুবেলার সাথে খুব সরলভাবে কেটে গেছে।
দ্বিতীয় প্রহরে কিছু না বুঝেই বই হাতে ছুটেছি স্কুলে,
তৃতীয় আর চতুর্থ প্রহরে জীবনকে কিছুটা বুঝতে শিখেছি।
তোতাপাখির ছড়া- ‘শিক্ষাই তোমার জীবনের একমাত্র গতি’।
পঞ্চম প্রহরে এসে নিজের মনকে প্রশ্ন করার শক্তি জন্মেছে!
জীবনকে প্রাচুর্যের রংতুলিতে আঁকার চিন্তা করেছি;তবে
বিধাতার লিখন সম্পর্কে অজ্ঞতার দরুন ছিলনা ভাগ্য জ্ঞান।
অদৃষ্টের লিখন-আখের বীজ রোপন করে মূলা গাছ পেয়েছি!
কিছুটা টনক নড়ল।দেখতে দেখতে জীবন ষষ্ঠ প্রহরে পৌছাল।
আমিও এই সময় রঙিন স্বপ্নকে সাদাকালো ফ্রেমে দেখি।
রামায়ণে সীতার অগ্নি পরীক্ষার কথা তো সবাই জানি
ষষ্ঠ প্রহর অতিক্রম করা সীতার অগ্নি পরীক্ষার চেয়েও কঠিন।
কি পেয়েছি-শিখেছি সে বিষয়ে আলোকপাত না ই করি।
সপ্তম প্রহর এসেছে না আসবে সে বিষয়ে ধোয়াশায় আছি
চায়ের টংয়ে বসা বুড়ো দাদুদের দেখি আর ভাবি,
আমি তো এখনই ক্লান্ত;দশম প্রহরে যেতে পারব কি?