এখন এক গামছায় হয়না মোছা
দুজনার ভেজা ত্বক,
এখন এক কাঁথার নিচে আঁকা হয়না
সুখ মেলানোর ছক।
এখন এক মগে রেখে যাওয়া হয়না
চুমুকের ভাগাভাগি,
এখন আবেগ তর্জমার ব্যর্থতায় হয়না
শিশুতোষ রাগারাগি।
আলো নিভিয়ে চুপটি করে
চলে আঁধারের উপভোগ,
কোনভাবেই সারছে না যে
মন খারাপের রোগ।
লোকমা তুলে দিলে পড়বেনা হাতে আর
তোমার দাঁতের কামড়,
উপোসী কাঁধে আর রাখবেনা কেউ মাথা
সে রবে স্পর্শকাতর।
ঢের উঁচুতে থাকা স্বপ্ন পেড়ে দেয়ার দাবী
হবেনা আর মেটাতে,
নিত্যদিনকার সুখগুলো একলাই হারবে
হবেনা তাদের জেতাতে।
মুগ্ধ হয়ে দেখব কি আর
সবুজ গাছের বৃষ্টিস্নান,
দীর্ঘ নিঃশ্বাসে নেয়া হবেনা
লাজুক তোমার ঘ্রাণ।
রাগ ভাঙাতে বেহায়া হয়ে খুঁজতে হবেনা
কারো গায়ে পড়ার ছুতো,
বিরহী বুকে কারো আছড়ে পড়া করবেনা
উচ্ছ্বাসে আর আপ্লুত।
থাকবে মাতাল করা মূর্ছনা, থাকবে না
সেই ছন্দে পা নাচানো,
আগলে রাখা কিছু পিদিম নেভে বাতাসে
যায়না বুঝি বাঁচানো।
একলা একা দেখি এখন
আকাশের মেঘমুখ,
কোলাহল নিচু করে মুখ
হয়ে আছে যে মূক।
আমার মুখিয়ে থাকা হয়না এখন
তুমি আসবে বলে।।